সংক্রমণ ঝুঁকি নিয়ে হলে ফিরতে চান না শিক্ষার্থীরা

(ঘড়ির কাটায়) তাসকিন, ফাহাদ, সাইফুল, হাসান ও পার্থ
(ঘড়ির কাটায়) তাসকিন, ফাহাদ, সাইফুল, হাসান ও পার্থ  © সংগৃহীত

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষের একুশ শতক। এই সময়ে একটি অদৃশ্য ভাইরাসের সংক্রমণে পুরো পৃথিবী কোণঠাসা। এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে এমন চিন্তা হয়তো কেউ কল্পনা ও করেনি। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন! অদৃশ্য ভাইরাসের ছোবলেই বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব। কোভিড-১৯ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অন্তত কয়েক লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। বাংলাদেশে সংক্রমণের হার অন্যান্য দেশের তুলনায় কম হলেও মৃত্যু নেহায়েত কম নয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসুস বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত যত ধরনের ব্যাধি নিয়ে বৈশ্বিকভাবে জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, তার মধ্যে করোনাভাইরাসই সবচেয়ে মারাত্মক।’ চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্তের পর থেকে এ পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে পৌণে তিন কোটির বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং ৯ লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন।

নয়া ভাইরাসের নেই কোন ভ্যাকসিন। কার্যকর কোন ওষুধও নেই। আদতে সুনির্দিষ্ট পরীক্ষিত চিকিৎসা ব্যবস্থাও নেই। সংক্রমণের শুরুতে চারিদিকে অনিশ্চয়তা আর অসহায়ত্বের আহাজারি। সংক্রমণ রোধে দেশে দেশে শুরু হয় লকডাউন ও বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইন। বাংলাদেশও একই পথে হাটে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেয় সরকার। সরকারি নির্দেশনায় সেদিন থেকেই বন্ধ হয় ঢাকা কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম। পরেরদিন (১৯ মার্চ) বন্ধ ঘোষণা করা হয় কলেজের আটটি আবাসিক হল।

ঢাকা কলেজের আবাসিক হলে বর্তমানে প্রায় চার হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর বসবাস, যা হলের ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি। হলসমূহে শিক্ষার্থীদের চাহিদার তুলনায় তীব্র সিট সংকট হবার দরুণ চার জনের জায়গায় দশ জন, আট জনের জায়গায় ১৬ জন করে গাদাগাদি করেই থাকতে হচ্ছে। এতদিন এসব বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনায় তেমন দুশ্চিন্তার ভাঁজ না পড়লেও করোনা পরিস্থিতিতে ঠিকই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই অবস্থায় ‘আবাসিক হল খুলে দেয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি কতটুকু নিশ্চিত হবে’ এমন প্রশ্ন ছিলো ঢাকা কলেজের আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের কাছে। তারাও জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তাদের উদ্বেগ আর উৎকন্ঠার কথা। আবাসিক শিক্ষার্থীদের সেসব মতামত জানাচ্ছেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস’র ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি মোঃ রাকিবুল হাসান তামিম।

মাহমুদুল হাসান
স্নাতকোত্তর, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
দক্ষিণায়ন হল

কোভিড-১৯ আমাদের পৃথিবী বদলে দিয়েছে। সারা দুনিয়ার সব মানুষ, কমিউনিটি আর সব জাতিকে এক জায়গায় নিয়ে এসেছে, আবার পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্নও করেছে। তৈরি করেছে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি। ভয়াবহ বিপর্যয় রোধে দেশের সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ। গত প্রায় ৬ মাসের বেশি সময় ধরে পা রাখিনি প্রিয় ক্যাম্পাসের আঙিনায়। যেখানে প্রতিনিয়ত ক্লাস, পরীক্ষা, আড্ডা, গান আর হৈ-হুল্লোড়ে কাটতো সময়, সে প্রাঙ্গনজুড়ে এখন শুধুই নিরবতা। আর আমরা যেসব শিক্ষার্থী হলের বাসিন্দা তাদের হিসেবটা আরো ভিন্ন। পুরো হলটাই যেন একটা পরিবার।

হলের ডাইনিংয়ের খাবার, ছারপোকা, মশার কামড় আর গাদাগাদি করে থাকাটাই আমাদের নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এসব নিয়ে আমাদের বিন্দুমাত্র কষ্টও নেই। তবে এবারের পরিস্থিতিটা একদমই ভিন্ন। করোনার কারণে আমাদের বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। ক্যাম্পাস খোলার সাথে সাথে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আবাসিক শিক্ষার্থীরা হলে ফিরে আসবে। এদের মধ্যে অনেকেই হয়তো করোনা আক্রান্তের মাত্রা বেশি এমন এলাকা বা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এমন পরিবার থেকে আসবে। হলে আসার পর যখন সবাই আবার একসাথে চলাফেরা, উঠাবসা, ক্লাস, পরীক্ষা, টিউশনি সহ বিভিন্ন কাজে যুক্ত হবে তখন তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করা অথবা সামজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পারাটা বড় চ্যালেঞ্জ হবে।

আবার আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। চাইলেই হল ছেড়ে বাইরে থাকাটা সম্ভব নয়। এজন্য কলেজ প্রশাসন করোনা শনাক্ত করণ বুথ স্থাপন করে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। একটি পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখতে হবে। হলগুলোতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও সচেতনতা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রশাসনের কি ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে তা হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিষয়।

এরকম হাজার হাজার আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করে আবাসিক হল খুলে দেওয়া হলে হয়তো হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই আমাদের একটাই প্রত্যাশা, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে তবেই শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল খুলে দেওয়ার চিন্তা বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হোক।

এফ.আই. ফাহাদ
স্নাতক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
আন্তর্জাতিক হল

করোনার সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। আমরা এখনো বলতে পারছি না যে, সার্বিক পরিস্থিতির বিবেচনায় সম্পূর্ণভাবে সংক্রমণের ঝুঁকি কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। এখনো নিত্যদিনই করোনার ছোবলে মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। আমার কাছে মনে হয়, করোনার ভয়াবহতা আমরা এখনো সঠিকভাবে অনুধাবণ করতে পারছি না। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর উন্নত স্বাস্থ্যখাত করোনার ভয়াবহতার কাছে যেখানে নত শিকার করছে, সেখানে আমাদের আত্মতুষ্টির কোন সুযোগ নেই।

আমরা চাই আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রিয় প্রাঙ্গনে খুব দ্রুতই ফিরে আসি। আবারো সবাই একত্রিত হই হলগুলোতে। তবে এক্ষেত্রে ছোট একটি কথা থেকেই যায়। সেটি হচ্ছে, হলগুলোতে আমরা কতটুকু স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে জীবনযাপন করতে পারবো? কিন্তু জীবন রক্ষার্থে এবং করোনার সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প কিছু নেই। এই স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে অবশ্যই কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং সরকারকে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। হুটহাট আবাসিক ছাত্রাবাস বা হলগুলো খুলে দিলে করোনার ভয়াবহতা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছি। তবে এভাবে হয়তো খুব বেশি সময় ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই।

তাই করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়ার সময় সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ নিজ অবস্থানে যেন শিক্ষার্থীরা যেতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। আর এ জন্য সরকার এবং হল প্রশাসনকে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। ক্যাম্পাসে মেডিকেল টিম গঠন করতে হবে। যাতে জরুরিভিত্তিতে যেকোনো সমস্যার মোকাবেলা করা যায়। সর্বোপরি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ক্যাম্পাসে চলাচল, ক্যাম্পাসের হলগুলোতে অবস্থান করা বিপজ্জনক বিধায় শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করেই আবাসিক হল গুলো শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া সমীচীন হবে।

পার্থ পোদ্দার
স্নাতক, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ
পশ্চিম হল

সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ রোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাস পরীক্ষার পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলগুলোও। করোনাভাইরাসের ফলে সৃষ্ট সামগ্রিক বিষয়াবলী বিবেচনায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প কিছু নেই। এই অবস্থায় আমাদের আবাসিক হল খুলে দিলেও অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। হল খোলার আগেই পুরো এলাকা জীবাণুনাশক ছিটানোর ব্যবস্থা করাটা খুবই জরুরি। যেহেতু দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষার্থীরা সেখানে অনুপস্থিত।

এরপর সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে মেডিকেল টিম রেডি রাখাটাও হল খুলে দেবার আগেই নিশ্চিত করতে হবে। কারণ হলের গণরুমে একসাথে অনেক শিক্ষার্থী বাধ্য হয়েই গাদাগাদি করে থাকতে হয়। এতদিন এসব কোন সমস্যা না হলেও এখন চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। তাই আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের আনার আগেই শতভাগ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে, তা না হয় হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে নিশ্চিত ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হবে।

মোঃ সাইফুল ইসলাম
স্নাতকোত্তর, বাংলা বিভাগ
আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস হল

হঠাৎ করেই অদৃশ্য এক ভাইরাসের সংক্রমণে সবকিছু স্থবির হয়ে পড়বে এমনটা অকল্পনীয়। গত মার্চ মাসে হল থেকে যখন বাড়ি ফিরছিলাম ভাবছিলাম কয়েকদিনের জন্যই হয়তো বাড়ি যাচ্ছি। খুব শিগগিরই আবারো ফিরবো ক্যাম্পাসে। কিন্তু পরিস্থিতি অতটা ঘোলাটে অবস্থায় রূপ নেবে তা ভাবিনি। এখনো পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। এ পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন সাড়ে চার হাজারের উপর। আর প্রতিনিয়তই দীর্ঘ হচ্ছে এ মৃত্যুর মিছিল।

এমন পরিস্থিতিতেই আবারো সবকিছু স্বাভাবিক হচ্ছে। হয়তো একসময় আমরা এমন পরিস্থিতিতেই অভ্যস্থ হয়ে যাব। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বা স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সামান্য গাফিলতির প্রায়শ্চিত্ত স্বভাবতই কঠিন এবং রূঢ় হবে। আমরা যারা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছি বিশেষ করে সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা অধিকাংশই প্রতিষ্ঠানের আবাসিক ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভর করতে হয়।

যেহেতু করোনা পরিস্থিতি সামাল দিয়েই আমাদের জীবনযাপন করতে হবে তাই হলগুলোতে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলাটা বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে হঠাৎ করে যদি কোন হলে একজন শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয় তবে ওই হলের বাকি শিক্ষার্থীরা কি করবে বা ওই অসুস্থ শিক্ষার্থী কোথায় কোয়ারেন্টিনে থাকবে তা হল প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের আগেই ঠিক করতে হবে।

এসব বিষয়গুলো বিশ্লেষণ পূর্বক যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পরই আবাসিক হল সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়াটা যুক্তিসঙ্গত। আর এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত না নিয়েই জন চাহিদা অনুযায়ী যে কোন সিদ্ধান্ত হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে।

তাসকিন আহমেদ কাজল
স্নাতক, অর্থনীতি বিভাগ
উত্তর হল

আদতে সত্য কথা হলো আমাদের দেশের অধিকাংশ আবাসিক হলগুলোয় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অবস্থান করাটা একেবারেই অসম্ভব। তারপরও এমন অবস্থায় যদি আবাসিক হলগুলো খুলে দেবার সিদ্ধান্ত হয় তবে কর্তৃপক্ষের উচিত হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে শিক্ষার্থীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা। আপদকালীন মুহূর্ত আসার আগেই পর্যাপ্ত সংখ্যক জীবাণুনাশক এবং স্বাস্থ্যসুরক্ষা সরঞ্জামাদি নিশ্চিত করা। সর্বোপরি শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত না করে অথবা প্রয়োজনীয় মেডিকেল ইকুইপমেন্ট এবং মেডিকেল টিম প্রস্তুত করেই হল খোলার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

আর ভ্যাকসিন যতদিন সহজলভ্য না হবে ততদিন যেন হলগুলোতে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবস্থান করতে পারে সেজন্য সরকার এবং হল প্রশাসনকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় কোন শিক্ষার্থীর মাঝে হঠাৎ করোনার উপসর্গ দেখা গেলে তাঁকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থাও ক্যাম্পাস প্রশাসনের উদ্যোগে হতে হবে।

এসব বিষয়াদির পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। না হয় অসাবধানতা আর অসতর্কতার দরুণ চড়া মূল্য দিতে হতে পারে, যা আমরা কখনোই কামনা করি না। তাই প্রত্যাশা করছি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করেই আমরা আমাদের আবাসিক হলে ফিরে আসবো।


সর্বশেষ সংবাদ