০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:২৩

স্মার্টফোন কেনার ঋণ চলতি মাসেই, শোধ না করলে আটকাবে সনদ

  © প্রতিকী ছবি

করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় পাঁচ মাস ধরে বন্ধ দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে অনলাইনে চলছে ক্লাস-পরীক্ষা। সে মোতাবেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে স্মার্টফোন-ল্যাপটপসহ প্রয়োজনীয় ডিভাইস না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হতে পারছেন না।

এসব অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা কথা চিন্তা করে তাদেরকে স্মার্টফোন কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে শিক্ষাঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। চলতি মাসেই এ অর্থ দেওয়া হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। তবে শিক্ষাবর্ষের মেয়াদে সহজ শর্তের ঋণ পরিশোধ না করলে আটকে যাবে সার্টিফিকেট।

ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সব শিক্ষার্থীকে অনলাইন ক্লাসে সম্পৃক্ত করতে উদ্যোগটি নেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে।’

সম্মতি পেলে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কিনতে ১০ হাজার টাকা করে শিক্ষাঋণ দেওয়া সম্ভব হবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে সবকিছুই নির্ভর করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপর।

ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা দিতে বলেছিলাম। তারা তালিকা পাঠিয়েছে। তবে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো তালিকায় অসঙ্গতি রয়েছে। সেগুলো সংশোধন করতে চিঠি দেয়া হবে। যেগুলোর তালিকা নিয়ে সমস্যা নেই সেগুলোর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করছি।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কেনার অর্থ বা সামর্থ্য নেই তাদের তালিকা আগেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় পাঠিয়েছে ইউজিসি। সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীদেরকে স্মার্টফোন কিনে দিতে অন্তত ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে।

বিষয়টি নিয়ে ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনা চলছে। সব ঠিক থাকলে চলতি মাসেই শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কিনতে ১০ হাজার টাকা করে শিক্ষাঋণ দেয়া হবে। শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাবর্ষ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত এই ঋণ পরিশোধের সুযোগ পাবেন। তাদেরকে মাসিক ৫০০ টাকা করে ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেয়া হবে।

ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘শিক্ষাঋণ অবশ্যই শিক্ষার্থীদের পরিশোধ করতে হবে। একজন শিক্ষার্থী তার শিক্ষাবর্ষের মেয়াদে ঋণ পরিশোধের সুযোগ পাবেন।’ এই ঋণ পরিশোধ না করলে সার্টিফিকেট পাবেন না বলে তিনি জানান।