২০১৫ সালের মেডিকেল প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্র শনাক্ত
২০১৫ সালে মেডিকেল ভর্তি প্রশ্ন ফাঁসের জোরালো অভিযোগ ওঠে, আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। তখন ভর্তি পরীক্ষা বাতিল ও পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে রাজপথে নামেন মেডিকেল ভর্তিচ্ছুরা। সেই আন্দোলন রাজধানীতে শুরু হলেও পরে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।
তবে শেষ পর্যন্ত সেই আন্দোলন আর আলোর মুখ দেখেনি। প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের প্রমাণ না থাকায় ভর্তি পরীক্ষা তখন বাতিল করা হয়নি। তবে পাঁচ বছর পর শিক্ষার্থীদের সেই আন্দোলনের সূত্র মিলিয়েছে বেসরকারি চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সার্চলাইট টিম। এর সঙ্গে ছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
চ্যানেলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর মেডিকেল ভর্তি প্রশ্নফাঁস চক্রের হোতাদের চিহ্নিত করতে পেরেছে তারা। তাদের অনুসন্ধানমূলক অনুষ্ঠান সার্চলাইট টিম এই সফলতা দেখিয়েছে। দীর্ঘ তিন বছর অনুসন্ধানের পর চক্রটিকে চিহ্নিত করতে পেরেছে তারা।
এর জেরে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় মাস্টারমাইন্ডসহ ওই চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সিআইডি। ২০১৫ সালে মেডিকেল প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িত হোতারা জানিয়েছেন, কীভাবে, কখন এবং কত টাকায় সেই ঘটনা ঘটেছিল। আর মাস্টারমাইন্ড কে ছিল? তাও বেরিয়ে এসেছে।
চ্যানেলটি জানিয়েছে, মিরপুরের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন ভূইয়া মুন্নুর নাম উঠে এসেছে। এ মাস্টারমাইন্ডসহ সিআইডির হাতে ধরা পড়েছেন আরও তিন জন। বাইরে দেখে বোঝার উপায় না থাকলেও অনুসন্ধানী টিমের কাছে সব খুলে বলেছেন জসিম উদ্দিন।
জানা গেছে, ফাঁস হওয়া প্রশ্নে অনেকেই মেডিকেল শিক্ষার্থী হয়েছেন। তারা এক সময় চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত হবেন। তবে মানুষ জানবে না তাদের পেছনের কথা। অথচ মেধাবী অনেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন তাদের কারণে থেমে গেছে মাঝপথে। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের আদ্যোপান্ত চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে আগামী শুক্রবারের সার্চলাইটে দেখা যাবে।