আম বিক্রির লভ্যাংশ দিয়ে অসহায়দের পাশে ঢাবি ও চুয়েট শিক্ষার্থী
করোনা কোভিড ১৯ মানুষের জীবনকে করেছে দুর্বিষহ, করেছে অসহায়। এমন এক দুর্যোগের সময় অসহায় মানুষের দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তেমনি বসে নাই তরুণ-তরুণীরা। তরুণ উদ্যোক্তারাও সাধারণ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য করে যাচ্ছেন অবিরত। তেমনি দুই তরুণ উদ্যোক্তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রেজওয়ান কবির এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী জুয়েল কবির।
তারা গড়ে তুলেছেন ‘আম হাট’ নামক এক ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হোম ও অনলাইন ডেলিভারির মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন মানুষের পছন্দের পণ্য। আর এই আম বিক্রির লভ্যাংশ দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তারা। একাজ তারা চলমান রাখতে চান। ইতোমধ্যে ১২০টি পরিবারের মাঝে চাল, তেল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে মানুষের হাতে তুলে দেন।
আম হাটের উদ্যোক্তা ঢাবি শিক্ষার্থী রেজওয়ান কবীর ও চুয়েট শিক্ষার্থী জুয়েল কবীর বলেন, ফরমালিন মুক্ত আমের চাহিদা সারা দেশেই রয়েছে। কিন্তু ফরমালিন মুক্ত ভালো আম পাওয়াটা কঠিন। সারা দেশে আমরা ফরমালিন মুক্ত আম ডেলিভারি দিয়ে থাকি।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমরা আমাদের কার্যক্রম শুরু করেছি। এখান থেকে আমাদের লাভের একটা অংশ দিয়ে করোনাকালীন অসচ্ছল পরিবারকে সহায়তা করার চিন্তা করেছি। যাতে মহামারিতে তাদের জীবনযাপন কিছুটা সহজ হয়। আমরা ইতোমধ্যে ১২০টি অসচ্ছল পরিবারের কাছে চাল, ডালসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খাবার সমগ্রী পৌঁছাতে পেরেছি।। আমরা এটা সাধ্যমত চালিয়ে যেতে চাই।