কৃষক বেশেই শেষ ক্লাস করলো নোবিপ্রবি কৃষি বিভাগের শিক্ষার্থীরা
জীবনের সবচেয়ে মধুর সময় ছাত্র অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটানো মুহুর্তগুলো। তাই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সমাপ্তিকালে সবার মনের আকাশেই জমে উঠে আবেগের ঘন মেঘ। শেষ সময় বা শেষ ক্লাসের মুহুর্তগুলো সবাই চায় একটু ব্যতিক্রমভাবে স্মৃতির পাতায় মুড়িয়ে রাখতে।
সেভাবে স্মৃতির পাতায় আবদ্ধ রাখার মত একটি ক্লাস করলো নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) কৃষি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। একযোগে ছাত্ররা সকলে লুঙ্গি এবং ছাত্রীরা শাড়ি পরে এলো স্নাতক জীবনের শেষ ক্লাসে।
বিভাগের ২০১৫-১৬ বর্ষের শিক্ষার্থীরা ব্যতিক্রমধর্মী ক্লাসে স্মৃতিতে ধারণ করে রাখলো বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ ক্লাসটি। গত ১৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় তাদের শেষ ক্লাস।
কয়দিন পর এই ব্যাচ বিদায় জানাবে প্রিয় ক্যাম্পাসকে। যাওয়ার আগে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের স্মৃতি অঙ্কন করে তারা। কৃষক বেশেই প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান। স্লোগানে মুখরিত করে প্রিয় ক্যাম্পাসকে।
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। কৃষকই এখানকার অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। তবে কৃষকরা থাকেন অবহেলায়। ফসলের মূল্যের সঙ্গে তাদের ভাগ্যে জোটে না পর্যাপ্ত সম্মানও। শিক্ষার্থীরা জানায়, সেই কৃষকদের প্রতি সম্মান জানাতে লুঙ্গি পরে ক্লাস রুমে এলেন তারা।
তারা জানান, ক্যাম্পাস লাইফের শেষ ক্লাসকে স্মরণীয় রাখতে নোবিপ্রবি কৃষি বিভাগের ৪র্থ ব্যাচ নেয় এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। বাঙালির ঐতিহ্য ও কৃষির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং কৃষক ও কিষাণীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে মেয়েরা শাড়ি এবং ছেলেরা লুঙ্গি পরে গামছা মাথায় বেঁধে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ ক্লাস করেন।
এ বিষয়ে কৃষি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আল আমীন আকাশ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ ক্লাস আসলেই খুব আবেগঘন সময়, এই মুহূর্তটা স্মরণীয় করে রাখতে চেয়েছিলাম ভিন্ন কিছু করে। তা ছাড়া আমাদের পঠিত বিষয় কৃষি, তাই এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং এই কৃষিকে বাঁচিয়ে রাখতে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করছে, তাদের প্রতি সম্মান জানাতেই আমরা এই ধরনের পোশাক বেছে নিয়েছি’।