শিক্ষার্থীদের ভিসা পেতে সহযোগিতা করবে জার্মান দূতাবাস
বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত পিটার ফাহরেনহোলজ বলেছেন, জার্মানিতে অধ্যায়ন ও গবেষণা করতে ইচ্ছুক চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রদানে তাদের দূতাবাস সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
গতকাল সোমবার (১১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের কার্যালয়ে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা জানান জার্মানির রাষ্ট্রদূত।
অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে জার্মানি সর্বদা বাংলাদেশের পাশে থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশাল সম্ভাবনার দেশ। এই দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর মতো অনেক খাত রয়েছে। জার্মানির অনেক কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতেও আগ্রহী।’
পিটার ফাহরেনহোলজ বলেন, ‘জ্ঞান, বিজ্ঞান ও গবেষণায় জার্মান ডিগ্রীর কদর বিশ্বজুড়ে। বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণার জন্য জার্মানিকে স্বর্গ বলা হয়। এখানে বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি লাগে না। এছাড়াও বৃত্তির সুযোগ রয়েছে। পড়াশোনা শেষে স্থায়ী চাকরি পাওয়া যায়। তা ছাড়া স্টুডেন্ট ভিসা দিয়ে ইউরোপের ২৬টি দেশে গবেষণা করার সুযোগ রয়েছে।’
সিসিসি’র মেয়র রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, জার্মানির সাথে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে জার্মানিই বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ঘটনার সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর বোন শেখ রেহেনা জার্মানিতে ছিলেন। সেজন্য ঘাতক চক্রের হাত থেকে তাঁরা প্রাণে রক্ষা পেয়েছিলেন। এই দুঃসময়ে তাদের আশ্রয় দিয়ে জার্মান সরকার অকৃত্রিম বন্ধুত্বের পরিচয় দেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্নেল সোহেল আহমদ ও মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।