আবরারকে নিয়ে সেই অমিত সাহার ফেসবুক মেসেজ ফাঁস
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়েলর (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা করেন বাবা বরকতউল্লাহ। এর মধ্যে ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে ফাহাদ খুন হওয়া ২০১১ নম্বর কক্ষের বাসিন্দা শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহার নাম না থাকা নিয়ে চলছে বিতর্ক।
এখন অমিত সাহারই একটি ফেসবুক মেসেজ নিয়ে চলছে বিতর্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেটি ভাইরাল হয়েছে। জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের আগে ফাহাদের সহপাঠী ১৭তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থীকে অমিত সাহা ফেসবুক মেসেঞ্জারে জিজ্ঞেস করেন, আবরার ফাহাদ কি হলে আছে?
ওই মেসেজর স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তবে ১৭তম ব্যাচের ওই শিক্ষার্থী নিজের পরিচয় প্রকাশ করতে না চাওয়ায় সিনিয়র একজন তা প্রকাশ করেন।
ঘটনার পর থেকে অমিত সাহা তার ফেসবুক আইডি ও মোবাইল নাম্বার বন্ধ করে রাখেন। তবে বুধবার ফেসবুক আইডি সচল করলেও মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
এর আগে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বলেছিলেন, আবরারকে শিবির সন্দেহে ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে আনা হয়। সেখানে তার মোবাইলে ফেসবুক ও মেসেঞ্জার চেক করেন তারা। এসময় তার শিবির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মেলে।
ফাহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বুয়েট ছাত্রলীগের উপ-দফতর সম্পাদক ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুজতবা রাফিদ, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ-আইন সম্পাদক অমিত সাহা।
এ বক্তব্যে অমিত সাহার নাম আছে। কিন্তু, পরে ছাত্রলীগের তদন্তে এই ছাত্র ক্যাম্পাসের বাইরে ছিল উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করা হয়। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের ধারণা, অমিত সাহা যদি ঘটনাস্থলে নাও থাকেন, তিনি আবরার ফাহাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তা হত্যাকারীদের জানিয়েছেন। কারণ, ফাহাদ তো বাসায় গিয়েছিল, হলে এসেছে কি-না তা সিনিয়ররা জানতেন না।
মামলায় অমিত সাহাকে আসামি না করার বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে এফআইআরের (প্রাথমিক তথ্য বিবরণী) রেশ ধরে। সেই বিবরণীতে উনি (বাদী) প্রাথমিকভাবে যাদের মনে করেছেন, যারা অপরাধ করেছেন, তাদের নাম উল্লেখ করেছেন। এর বাইরেও যদি কাউকে পাওয়া হয়, যারা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কোনো বাধা নেই।’