গণমৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাশিয়া-বাংলাদেশ মিউজিক্যাল শো
রাশিয়া-বাংলাদেশ মিউজিক্যাল শোতে বাংলা গানে মস্কো মাতালেন শিল্পীরা। বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে দ্বিতীয়বারের মতো এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
রাশিয়ার বিশ্বখ্যাত পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটির অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রাজুয়েটস অ্যান্ড ফ্রেন্ডস পিপলসের ‘কাউন্সিল চেয়ারম্যান’ বাংলাদেশি আলমগীর জলিলের উদ্যোগে এ শো’র আয়োজন করা হয়। গণমৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই মিউজিক্যাল শো অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আরমান জলিল এবং আলিসা।
অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া রাশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানান, রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যকার সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন আরও জোরদার করতে এমন আয়োজন খুবই উপযোগী। মস্কোয় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রুশ দর্শক বাংলা গান উপভোগ করেছেন।
বাংলাদেশি কণ্ঠশিল্পী লুইপা ছাড়াও অন্যরকম এই শোতে গান করেন শাপলা এবং লিজা পাক্রোপ্সকায়া। রাশিয়ার নৃত্য দল ‘আমরিস্টার প্রজেক্ট’ নাচ পরিবেশন করেন।
কন্ঠশিল্পী জিনিয়া জাফরিন লুইপা বলেন, এই শোতে দ্বিতীয়বারের মতো এসেছি। আমি বেশ আনন্দিত। ভিনদেশে বাংলা গানকে তুলে ধরতে পারছি- এটা গর্বের। আয়োজকদের ‘বড় ধন্যবাদ’ প্রাপ্য। যুগ যুগ ধরে এই আয়োজন চলমান থাকুক- এমনটাই প্রত্যাশা করছি। এ আয়োজনের সঙ্গে আমার গভীর এক ভালোলাগা সবসময়ের জন্যই।
অনুষ্ঠানের আয়োজক আলমগীর জলিল বলেন, রাশিয়ায় থাকলেও মনটা আমার বাংলাদেশেই পরে থাকে। ভালোবাসি সোনার বাংলাকে। আমার দেশের সংস্কৃতিকে বিশ্বদরবারে আরও পরিচয় করিয়ে দিতে চাই। এটা দ্বিতীয় আয়োজন। প্রতিবছরই এমন উদ্যোগ চলমান রাখতে চাই। অনুষ্ঠান উপভোগ করতে আসা রাশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
গণমৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ছাত্র সংগঠনের সভাপতি ফয়সাল আলম বলেন, চমৎকার এই আয়োজনে এসে ভালো লেগেছে। এই দিন ক্যাম্পাস ‘একখন্ড বাংলাদেশ’ হয়ে গিয়েছিল। মনে হয়েছে আমি বাংলাদেশেই রয়েছি। আমাদের সংস্কৃতিকে রাশিয়ানদের কাছে পরিচিত করতে এবং সব বাঙ্গালীদের একসঙ্গে করতে এ ধরনের আয়োজন খুবই প্রয়োজন। আয়োজক আলমগীর জলিল ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা। এমন ভালো উদ্যোগের পাশে থাকবে রাশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।