জকসু নির্বাচন স্থগিতের খবরে জবি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫ স্থগিত করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ইন্তেকাল করায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার খবর প্রকাশ হলে শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ শুরু করেন।
আজ সকাল ৯ টা থেকে ভোট গ্রহণের কথা ছিল। সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা ভোট দেওয়ার জন্য দলে দলে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। এরপর খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবরে বিশ্ববিদ্যালয় জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডাকে। সভায় নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সিদ্ধান্তের পর শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি।
সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম। সিন্ডিকেট সভা শেষে মঙ্গলবার সকালে তিনি বলেন, ‘শোকাবহ এই সময়ে আমরা নির্বাচনের উৎসব চাই না। এ জন্য জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিত করা হচ্ছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দুই দশক পর প্রথমবারের মতো ছাত্র সংসদ নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তবে ভোটগ্রহন শুরুর আগেই এ নির্বাচন স্থগিত করা হলো। নতুন সময়সূচি পরবর্তীতে জানাবে নির্বাচন কমিশন। এর আগে নির্বাচনের জন্য পুরো ক্যাম্পাস নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়।
১৯৮৭ সালে তৎকালীন জগন্নাথ কলেজে ছাত্রসংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কলেজটি ২০২৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার পর এটিই প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন। ৩৯টি কেন্দ্রে ১৭৮টি বুথে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল।
কমিশন সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য ৩৮টি এবং হল সংসদের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়। প্রতি ১০০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একটি করে ভোটগ্রহণ বুথ ছিল। ভোটগ্রহণ শেষে মেশিনের মাধ্যমে ভোট গণনা করার কথা জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১৬ হাজার ৪৪৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৮ হাজার ৪৭৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ১৭০ জন। কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট প্রার্থী ১৮৭ জন।
নির্বাচনের মোট প্যানেল ৪টি (ছাত্রদল, শিবির, ছাত্রশক্তি ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রান্ট)। সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী ৯ জন, সহসাধারণ সম্পাদক ৮ জন। নির্বাচন ৩০ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার), এদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছিল।