০৪ আগস্ট ২০২৫, ১৪:২৯

যাতায়াত ভোগান্তি কমাতে শাবিতে তিনটি দ্বিতল বাসের উদ্বোধন 

শাবিতে তিনটি দ্বিতল বাসের উদ্বোধন  © টিডিসি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে ভোগান্তি কমাতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৭৫ আসন বিশিষ্ট ৩টি দ্বিতল বাসের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (৪ আগস্ট) প্রশাসনিক ভবন-১ এর সামনে দুপুরে বাসের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়াউদ্দিন চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাজেদুল করিম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইসমাইল হোসেন, পরিবহণ প্রশাসক অধ্যাপক আ ফ ম জাকারিয়া ও বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইসমাঈল হোসেন বলেন, ‘ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত বাস না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা অতি কষ্টে ক্যাম্পাসে যাওয়া আসা করছে। অনেকে বাসে জায়গা না পেয়ে পাবলিক পরিবহনে যাতায়াত করছে। ফলে অধিক অর্থ ব্যয়সহ বিভিন্ন ঝুঁকি বেড়ে গিয়েছে। শিক্ষার্থীদের এই সকল সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে বর্তমান প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের পর পরই বাস ক্রয়ের জন্য বিমকের সাথে যোগাযোগ করছে। তারই অংশ হিসেবে নতুন বাস না আসা পর্যন্ত বিআরটিসি-৩৯ বাস ভাড়া করার অনুমোদন দিয়েছে। আমরা আশা করছি নতুন এই বাসের যাত্রায় শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সংকট লাঘব হবে।'

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, 'শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের একটা দাবি ছিল যাতায়াত সমস্যার সমাধান করা। বর্তমানে এই তিনটি দ্বিতল বাসের যাত্রা শুরু হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সমস্যার সমাধান হবে।' তিনি আরও বলেন, 'আমরা খুব শীঘ্রই মূল ফটক থেকে হল পর্যন্ত শাটল বাসের সুবিধা চালু করবো। সেজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।'

এর আগে গত ১ জুলাই ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি পত্রে তিনটি বাসের অনুমোদন দেওয়া হয়।

বাসের চুক্তি শর্তে বলা হয়, বাস ভাড়ার ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট ২০০৬ ও রুলস ২০০৮ (পিপিএ) অনুসরণ করতে হবে। এছাড়া ভাড়া চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর তা দ্রুত কমিশনে জমা দিতে হবে এবং সরকার নির্ধারিত হারে আয়করসহ প্রযোজ্য অন্যান্য কর কর্তন করে ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। পত্রে আরোও উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যখন বাস ক্রয় করবে, তখনই ভাড়ায় নেওয়া সমসংখ্যক বাসের চুক্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে।