০৬ আগস্ট ২০২৫, ১৭:২১

প্রক্রিয়াজাত খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে, কী বলছে গবেষণা? 

প্রতীকী ছবি   © সংগৃহীত

অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণে ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে বলে উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিতভাবে এসব খাবার খেয়ে থাকেন, তাদের মধ্যে ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৪১ শতাংশ বেশি। গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন ১ হাজার ৭০৬ জন মার্কিন নাগরিক, যাদের বয়স ১২ বছরের ঊর্ধ্বে এবং সবাই কোনো না কোনোভাবে ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। (খবর সামা টিভির)

সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্য হলো, শুধু ধূমপায়ী নয়, বরং যারা ধূমপান করেন না, তারাও অতিমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার কারণে এই মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। গবেষকরা বলছেন, এটি একটি বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য সংকেত।

অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার বলতে বোঝায় এমন সব খাদ্যপণ্য যেগুলো শিল্প পর্যায়ে ব্যাপকভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এসব খাবারে সাধারণত থাকে কৃত্রিম স্বাদ, রং, সংরক্ষণ উপাদান ও অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান, যেগুলো সাধারণ রান্নাঘরে ব্যবহৃত হয় না।

এর মধ্যে রয়েছে— প্যাকেটজাত দই, চিপস, প্রক্রিয়াজাত রুটি, হিমায়িত খাবার, প্রক্রিয়াজাত দুধ ইত্যাদি। এসব খাবার তুলনামূলকভাবে সস্তা ও দীর্ঘদিন সংরক্ষণযোগ্য হওয়ায় অনেকেই এগুলোর প্রতি ঝুঁকে পড়েন।

আরও পড়ুন: বামপন্থিদের স্লোগান ইস্যুতে বিবৃতি দিল কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবির

ফুসফুস ক্যান্সারের সাধারণত ধূমপান, দূষণ এবং জিনগত কারণে হওয়ার প্রবণতা রয়েছে বলে চিকিৎসকরা পূর্বে থেকেই জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, খাদ্যাভ্যাস বিশেষ করে অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ এই তালিকায় নতুন করে সংযোজন হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরেই এসব খাবার সীমিত পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছেন। নতুন গবেষণার পর এটি আরও জোরালোভাবে প্রমাণিত হলো যে, প্রক্রিয়াজাত খাবার কেবল স্থূলতা বা ডায়াবেটিস নয়, বরং ক্যান্সারের মতো প্রাণঘাতী রোগেরও ঝুঁকি বহন করে।