স্বাস্থ্যসেবায় নতুন দিগন্ত: হাসপতালে-হাসপাতালে চালু হচ্ছে সরকারি ফার্মেসি

হাসপতালে-হাসপাতালে চালু হচ্ছে সরকারি ফার্মেসি
হাসপতালে-হাসপাতালে চালু হচ্ছে সরকারি ফার্মেসি  © সংগৃহীত

সাধারণ মানুষের জন্য কম দামে ওষুধের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে প্রথমবারের মতো সারা দেশে চালু হচ্ছে সরকারি ফার্মেসি। এখানে থেকে সাধারণত ২৫০ ধরনের ওষুধ কেনা যাবে। বাজারমূল্যের তুলনায় এই ওষধ মাত্র এক-তৃতীয়াংশ দামে বিক্রি হবে। এই ফার্মেসিগুলোর সব ওষুধের গুণগত মান হবে সর্বোচ্চ। প্রাথমিকভাবে, দেশের সব সরকারি হাসপাতালের প্রাঙ্গণে এসব ফার্মেসি স্থাপন করা হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, দেশে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপসহ দীর্ঘমেয়াদি নানা রোগে আক্রান্ত কোটি কোটি মানুষ রয়েছে। যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। এসব রোগীদের গড় চিকিৎসা খরচের ৬৪% ভাগই যায় ওষুধের জন্য। ফলে প্রতি বছর অনেক রোগী ওষুধ কিনতে গিয়ে দারিদ্র্যের দিকে ধাবিত হন। এই পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকার এমন একটি উদ্যোগ নিয়েছে যাতে রোগীরা সাশ্রয়ী দামে ওষুধ পেতে পারেন। সরকারি ফার্মেসিতে পাওয়া যাবে ২৫০ ধরনের ওষুধ যা ৮৫% রোগীর চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট হবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেছেন, ‘দেশে ল্যাব সার্ভিস এবং অন্যান্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা রয়েছে। কিন্তু সেখানে ফার্মাসিউটিক্যাল সেবার অভাব দেখা যায়। সুতরাং এটি একটি নতুন বন্দোবস্ত যা সরকারের হাসপাতালগুলো থেকেই শুরু করা হবে।’

সরকারি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ইডিসিএল প্রতিবছর প্রায় ১৩০০ কোটি টাকার ওষুধ ক্রয় করে। এবার থেকে বাজেট বাড়ানো হবে এবং প্রয়োজনীয় পরিমাণে ওষুধ কেনা হবে। এছাড়া উৎপাদন সক্ষমতাও বৃদ্ধি করা হবে।

এদিকে সরকারি ফার্মেসির প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে ওষুধ চুরি প্রতিরোধ করা। এ কারণে স্বাস্থ্য বিভাগ পুরো ব্যবস্থাটি ডিজিটাল করার পরিকল্পনা নিয়েছে। যাতে সিস্টেমটি স্বচ্ছ এবং নিরাপদ হয়। এর মধ্য দিয়ে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ওষুধের সরবরাহ এবং ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। ফলে তা জনগণের জন্য সুবিধাজনক এবং কার্যকরী হবে।


সর্বশেষ সংবাদ