১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪:৩০

পড়ায় মন নেই, খেলতেও চায় না শিশু—তাদের মনন ও বুদ্ধির বিকাশে যা করবেন

খেলার ছলেও শিশুদের অনেক বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া যায়  © আনন্দবাজার

দিনরাত দৌড়ে বেড়ায় শিশু সন্তান। পড়াশোনায় মন নেই। তার দস্যিপনা সামলাতে গিয়ে নাজেহাল পরিবারের সবাই। শিশুদের মন এমনিতেও চঞ্চল। এক জায়গায় বেশিক্ষণ স্থির থাকে না। পড়তে বসালে টেলিভিশনের দিকে মন পড়ে থাকে। বারবার উঠে চলে যায়। তা সে পড়াশোনা হোক, খেলা, গানবাজনা কিংবা ছবি আঁকা। 

তাদের বসিয়ে রাখাই সবচেয়ে বড় সমস্যা। যদিও বা বসে, কিছুক্ষণ পরপরই উঠে যাবে। বকাঝকা করলে চিৎকার, কান্নাকাটি শুরু হবে। এসব শিশুর মনোযোগ কীভাবে বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়ে চিন্তার অন্ত নেই মা-বাবার। কিন্তু বেড়ে ওঠার এ পর্যায়ে খেলার ছলেই তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ঘটানো যায়। মনোসংযোগ বৃদ্ধি করা যায়।

গল্প বলার খেলা
প্রথমে অভিভাবকরা গল্প শুরু করুন। কয়েকটি বাক্য বলার পরে তাকে গল্পটি এগিয়ে নিয়ে যেতে বলুন। আরও কয়েকটি বাক্য জুড়তে বলুন। এভাবে শিশু নতুন নতুন শব্দচয়ন করা যেমন শিখবে, তেমনই কল্পনাশক্তিরও বিকাশ ঘটবে। ভাষার ওপর দখল বাড়বে, সৃজনশীলতারও বিকাশ হবে।

ক্রস ক্রল
ব্যায়ামের একটি পদ্ধতি এটি। শিশুকে বলুন ডান হাত দিয়ে বাঁ পায়ের হাঁটু স্পর্শ করতে, একই ভাবে বাঁ হাত দিয়ে ডান পায়ের হাঁটু স্পর্শ করবে। পর্যায়ক্রমে এ পদ্ধতি চালিয়ে যেতে হবে। ব্যায়ামটি মস্তিষ্কের কোষগুলোর সক্রিয়তা বৃদ্ধি করে। এতে মনঃসংযোগ বাড়বে, স্মৃতিশক্তিও উন্নত হবে।

আরও পড়ুন: নখের যেসব ছোট ছোট পরিবর্তন বড় রোগের সতর্ক সংকেত!

মননশীল খেলা
বিভিন্ন রকম আকার ম্যাচ করতে দেওয়া, জিগস পাজল, দাবা খেলা শিশুদের ধীরে চলার শিক্ষা দেয়। ম্যাচ করতে গেলে ভাবতে হয়, মন দিতে হয়। এতে মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে। একইসঙ্গে পাজল সমাধান করার আনন্দ, তাদের আবার এ ধরনের খেলায় উৎসাহ জোগায়।

কাউন্টিং ব্যাকওয়ার্ড
শিশুকে ১ থেকে ১০০ অবধি গুনতে বলুন। তারপর ১০০ থেকে ১ অবধি পেছন দিকে গুনতে বলুন। শুরুতে হোঁচট খাবে, পরে অভ্যাস হয়ে যাবে। এ সহজ খেলা বুদ্ধির বিকাশ ঘটাবে, মনঃসংযোগও বৃদ্ধি করবে। স্থির হয়ে বসে চিন্তাভাবনা করতে পারবে শিশু।

সূত্র: আনন্দবাজার।