৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৫৩

সকালের যেসব খাবার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করবে

প্রতীকী ছবি  © সংগৃহীত

সুস্থ থাকতে এবং সঠিক ওজন বজায় রাখতে দিনের শুরুটা হওয়া উচিত সঠিক খাবারের মাধ্যমে। অনেকেই ব্যস্ততার কারণে সকালের নাশতা বাদ দেন বা তাড়াহুড়ো করে কিছু খেয়ে নেন। আবার কেউ কেউ দেরি করে নাশতা করেন, যা শরীরের জন্য ভালো নয়। পুষ্টিবিদদের মতে, সকালের নাশতায় এমন খাবার থাকা উচিত যা শরীরে পর্যাপ্ত শক্তি জোগাবে, কিন্তু অতিরিক্ত শর্করা বা চর্বি বাড়াবে না।

ডিম
ডিম হলো সকালের নাশতার সবচেয়ে পুষ্টিকর উপাদানগুলোর একটি। এতে প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে, যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। সেদ্ধ ডিম খাওয়া সবচেয়ে ভালো, কারণ এতে তেল ব্যবহার করতে হয় না।

গোটা শস্যের পাউরুটি ও স্যান্ডউইচ
সাদা পাউরুটির বদলে গোটা শস্যের বাদামি পাউরুটি বেছে নিন। এটি আঁশে সমৃদ্ধ এবং সহজে হজম হয়। বাদামের মাখন দিয়ে খেলে ‘ভালো’ ফ্যাট ও প্রোটিন পাওয়া যায়। এছাড়া মুরগির মাংস, ডিম বা সবজি দিয়ে তৈরি স্যান্ডউইচও হতে পারে দারুণ ব্রেকফাস্ট। তবে মেয়োনেজ ও বেশি ফ্যাটযুক্ত পনির এড়িয়ে চলাই ভালো।

ওটস
ওটস সকালের নাশতার আরেকটি চমৎকার বিকল্প। এটি দিয়ে খিচুড়ি বা ফলের সঙ্গে মিশিয়ে খাবার তৈরি করা যায়। ওটসে থাকা আঁশ শরীরকে দীর্ঘক্ষণ তৃপ্ত রাখে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

আরও পড়ুন: কুবির হল সংসদ নির্বাচনে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের প্রার্থিতা নিয়ে আপত্তি একাংশের

ফল ও সালাদ
ফলের রসের বদলে গোটা ফল খেলে বেশি পুষ্টি ও আঁশ পাওয়া যায়। ফলে সহজে ক্ষুধা লাগে না। টক দই দিয়ে তৈরি ফলের সালাদ হতে পারে এক স্বাস্থ্যকর বিকল্প। এছাড়া আলু ছাড়া সবজি সালাদেও মুরগির মাংস বা ডিম মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে, যা নোনতা স্বাদও মেটায়।

টোফু, কলা ও স্মুদি
উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উৎস হিসেবে টোফু নাশতায় রাখা যেতে পারে। এটি দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা পেতে দেয় না। কলাও শক্তির ভালো উৎস, যা দিন শুরু করার আগে খেলে শরীরে শক্তি জোগায়। চিনি ছাড়া ফলের স্মুদি হতে পারে হালকা ও পুষ্টিকর পানীয়। তবে ক্রিমজাতীয় উপকরণ ব্যবহার করা উচিত নয়।

কফি বা গ্রিন টি
চিনি ছাড়া এক কাপ কফি বা গ্রিন টি শরীরকে সতেজ রাখে এবং বিপাক ক্রিয়া বাড়িয়ে ওজন কমাতেও সহায়তা করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, “রাজার মতো” নাশতা মানে একেবারে ভারী খাবার নয়, বরং এমন ভারসাম্যপূর্ণ খাবার যা শক্তি দেবে, কিন্তু বাড়তি ক্যালোরি নয়। তাই নিয়মিত ও পুষ্টিকর নাশতা খাওয়ার অভ্যাসই হলো ওজন নিয়ন্ত্রণের প্রথম ধাপ।