১৯ মে ২০২৫, ১৭:৫৭

গলা ব্যথা, শুকনা কাশি? প্রতিদিন খান এই খাবারগুলো

গলা ব্যথা ও শুকনা কাশি  © সংগৃহীত

শীতের আগমনে বেড়েছে সর্দি–কাশির প্রকোপ। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপট, যার অন্যতম লক্ষণ হলো খুসখুসে শুকনা কাশি, গলায় ব্যথা ও অস্বস্তি। অনেকেই এই কাশি দীর্ঘদিন ধরে ভোগেন, যা দেহ ও মন দুটোতেই বিরক্তিকর প্রভাব ফেলে।

এই সময়ে জ্বর বা কাশি হলে অবহেলা না করে আইসোলেশনে থাকা জরুরি। নিজে নিজে ওষুধ না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করলে উপশম মিলতে পারে।

মধু কাশি উপশমে কার্যকর। এতে রয়েছে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা গলার অস্বস্তি কমায়। প্রতিদিন এক চামচ মধু হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন, কিংবা লিকার চায়ে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন।

হলুদ একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক ও অ্যান্টি–ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। এক গ্লাস গরম দুধে এক চা–চামচ হলুদ ও সামান্য গোলমরিচ গুঁড়া মিশিয়ে পান করলে কাশি ও গলা ব্যথা কমে।

আদা গলার জ্বালা ও কাশি প্রশমনে বেশ উপকারী। কুচি করা আদা সেদ্ধ করে তার পানি পান করুন, অথবা চায়ের সঙ্গে আদা ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।

তুলসীপাতা রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এতে থাকা ভিটামিন সি ও জিংক প্রদাহ কমাতে সহায়ক। তুলসীপাতা চিবিয়ে খাওয়া যায়, আবার মধু বা চায়ের সঙ্গে মিশিয়েও গ্রহণ করা যায়।

মসলা চা যেমন লবঙ্গ, এলাচ, দারুচিনি ও গোলমরিচ দিয়ে তৈরি হারবাল টি গলা ব্যথা ও কাশির উপশমে ভালো কাজ করে। এতে গলা পরিষ্কার হয় ও কফ পাতলা হয়ে যায়।

রসুন অ্যালিসিন নামের উপাদান রয়েছে, যা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে। রোজকার খাদ্যে কাঁচা রসুন যোগ করা যেতে পারে—স্যুপ বা সালাদের সঙ্গে খাওয়া উপকারী।

এই সময় প্রচুর তরল গ্রহণ খুবই জরুরি। গরম স্যুপ, মসলা পানি, আদা–লেবু চা, হারবাল চা এসব পানীয় বারবার খেলে গলা নরম থাকে ও কাশি কমে। সঙ্গে রাখতে হবে কিছু অতিরিক্ত যত্ন—গরম লবণপানিতে গার্গল করা, গরম পানির ভাপ নেওয়া এবং অবশ্যই ধূমপান থেকে দূরে থাকা।

এসব ঘরোয়া উপায় যেমন সহজলভ্য, তেমনি সাশ্রয়ী। তবে উপসর্গ বাড়লে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করাই শ্রেয়।