দাফনের আগমুহূর্তে শিশুর কেঁদে ওঠার পুরনো খবর নতুন করে প্রচার
বেশকয়েকটি অনলাইন পোর্টালসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি একটি নবজাতকের ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, চিকিৎসকের মৃত ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর শিশুটি জীবিত হয়ে উঠেছে। মূলত গত বছরের ঘটনার খবর নতুন করে পোস্ট করে প্রচার করা হয়েছে।
গত ৩১ মে ১১ লাখ সদস্যের ফেসবুক গ্রুপ বাংলা ভাইরাল নিউজে পেটস নামক একটি পেজ থেকে ‘আল্লাহর রহমত নাকি ডাক্তারের ভুল? মৃত ঘোষণার ২ঘন্টা পর বেঁচে উঠলো শিশুটি’ শিরোনামে বিডিডট ডেইলিনিউজলাইভ টোয়েন্টিফোর ডটকমের একটি লিঙ্ক শেয়ার করা হয়। পোস্টটিতে সাড়ে তিন হাজারের বেশি রিয়্যাক্ট পড়ে এবং ১২৬টি মন্তব্য পড়ে।
পরে পাবদা মিডিয়া নামক ফেসবুক পেজে গত শনিবার (১৯ জুন) ‘আল্লাহর রহমত নাকি ডাক্তারের ভুল? মৃত ঘোষণার ২ ঘন্টা পর বেঁচে উঠলো শিশুটি’ শিরোনামে টাইমনিউজপ্লাস ডটকমের একটি লিঙ্ক শেয়ার করা হয়। পোস্টেও শিরোনামটি ক্যাপশন হিসেবে দেওয়া হয়।
১৯ জুন এবং ৩১ মে দুটি অনলাইনের প্রতিবেদনেই বলা হয়, ‘গতকাল সকাল ৫ টায় ঢাকা মেডিকেলে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। জন্মের পরও শিশুটি কোন প্রকার নড়াচড়া বা শব্দ করে না। ফলে শিশুটিকে ডেড সার্টিফিকেট সহ মৃত ঘোষণা করে দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার। এরপর একটি প্যাকেটে মুড়িয়ে শিশুর লাশ বাবার কাছে দেয়। বাবা লাশ নিয়ে কবরস্থানে দাফন করতে নিয়ে যায়। এমন সময় লাশের প্যাকেট নড়ে উঠে এবং শিশুটি কান্না শুরু করে।’
ফেসবুক পোস্টসমূহ এবং অনলাইন পোর্টালগুলোর পোস্ট দেখে মনে হতে পারে ঘটনাটি অতি সম্প্রতি ঘটেছে। অথচ মূলধারার একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত বছরের ১৬ অক্টোবর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এমনটি ঘটে।
২০২০ সালের ১৬ অক্টোবর প্রথম আলো অনলাইনে ‘দাফনের ঠিক আগমুহূর্তে কেঁদে উঠল শিশুটি’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ভোর পৌনে পাঁচটায় কন্যাশিশুটির জন্ম হয়েছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরপরই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল থেকে দেওয়া হয় মৃত্যুর সনদ। বাবা ইয়াসিন শিশুটিকে নিয়ে যান আজিমপুর কবরস্থানে। সেখানে দাফনের খরচ পোষাতে না পেরে শিশুটিকে নিয়ে যান মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার কবরস্থানে। কবর খোঁড়ার কাজ চলছিল তখন। এমন সময় শিশুটি নড়েচড়ে ওঠে, শুরু করে কান্নাকাটি। এরপর শিশুটিকে নিয়ে আবার ঢাকা মেডিকেলে ছুটে আসেন ইয়াসিন।’