করোনাভাইরাস তৈরি করে চীনে বিক্রি করেছিলেন হার্ভার্ড অধ্যাপক?

  © ইন্টারনেট

বিগত বছরের শেষের দিকে চীনে ভয়াবহ আকারে ছড়াতে শুরু করে করোনাভাইরাস। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. চার্লস লিবারকে গ্রেফতার করা হয়েছে গত জানুয়ারিতে।

চীনের পর বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ার পর ওই গ্রেফতার নিয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব তৈরি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ কিছু গণমাধ্যমে এমন কথা উঠেছে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণাগারে করোনাভাইরাস তৈরি করে চীনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলেন।

অধ্যাপক চার্লস’র বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, একাধিক চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার সম্পর্কের তথ্য তিনি গোপন করেছিলেন। তবে তার গ্রেফতারের সঙ্গে করোনাভাইরাস বিক্রির যে সম্পর্ক নিয়ে তথ্য ছড়িয়েছে তা বিভ্রান্তিমূলক হয়ে থাকতে পারে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। তাদের অ্যান্টি ফেক নিউজ ওয়ার রুম (এএফডব্লিউএ) বিশ্লেষণ করে সে ধরণের ইঙ্গিত পেয়েছে। এএফডব্লিউএর দাবি, ড. চার্লস এর গ্রেফতারের সঙ্গে করোনাভাইরাস উৎপাদন করে বিক্রি করার বিষয়টির কোনো সম্পর্ক নেই।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘অ্যালেক্স আলভারেজ’ এবং ‘মীরা সিংহ’ ফেসবুক ব্যবহারকারীরা মার্কিন নিউজ চ্যানেল ‘ডাব্লুসিভিবি’র একটি ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করেন। তাতে ক্যাপশন লেখা হয়, করোনাভাইরাস আবিষ্কার করে চীনে বিক্রি করেছিলেন এমন এক ব্যক্তির সন্ধান পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

তিনি হলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন ও জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ড. চার্লস লিবার। তাকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। ওই দাবিটি ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপে মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।

তবে গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার গণমাধ্যমে ড. চার্লস এর গ্রেপ্তারের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। নিউইয়র্ক টাইমসের এক খবরে বলা হয়, ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে চীনা তহবিল গোপন করার অভিযোগ রয়েছে। গুপ্তচরবৃত্তির জন্য বা চীনে সংবেদনশীল তথ্য প্রেরণের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

তাকে চীন থেকে প্রাপ্ত তহবিলের জন্য ‘বস্তুগতভাবে মিথ্যা, কল্পিত ও প্রতারণামূলক বক্তব্য দেওয়ার’ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কর্তৃপক্ষ ২০২০ সালের জানুয়ারিতে গ্রেপ্তার করে। তবে ন্যানোসায়েন্টিস্ট ড. চার্লস এর গ্রেফতারের সঙ্গে করোনাভাইরাসের কোনো সম্পর্ক নেই।


সর্বশেষ সংবাদ