৩০ জুলাই ২০২২, ১৩:৩১

মাঙ্কিপক্সে ব্রাজিল ও স্পেনে মৃত্যু

মাঙ্কিপক্সে প্রথমবারের মতো ব্রাজিল ও স্পেনে মৃত্যু   © ফাইল ছবি

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে মাঙ্কিপক্স। এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে বৈশ্বিক সতর্কতা। তবে বিশ্বের অনেক দেশেই মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়লেও আফ্রিকার বাইরে এবার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা জানা গেছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে প্রথমবারের মতো মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। শুক্রবার ব্রাজিলের পক্ষ থেকে মৃত্যুর বিষয়টি জানানোর কিছুক্ষণ পরেই পরেই স্পেনও জানিয়েছে, তাদের দেশেও মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দেশটিতে ৪১ বছর বয়সী একজন ব্যক্তি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

যদিও তিনি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার আগে থেকেই লিম্ফোমায় ভুগছিলেন। এ ছাড়া তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও ছিল দুর্বল।

মন্ত্রণালয় বলছে, আক্রান্ত ব্যক্তিকে দেশটির দক্ষিণ পূর্বের-শহর বেলো হরিজন্টের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এবং পরে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিউ) নেয়ার পর সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যান।

প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশন (পাহো) বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সঙ্গে ব্রাজিলও সবচেয়ে বেশি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত দেশগুলোর একটি। এ পর্যন্ত দেশটিতে ১ হাজারের বেশি লোক মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন।

ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ৯৮ ভাগ সমকামী পুরুষ। তবে আক্রান্ত হতে পারেন যে কেউ।

এদিকে স্পেন কর্তৃপক্ষ মাঙ্কিপক্সে মারা যাওয়া ব্যক্তির বিস্তারিত প্রকাশ করেনি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৭৮টি দেশে মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজারের বেশি। এদের মধ্যে ইউরোপে ৭০ শতাংশের বেশি আর আমেরিকায় ২৫ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়ায় ওয়াশিংটন সরকার এরই মধ্যে রোগের সম্ভাব্য ভ্যাকসিন কিনে রেখেছে।

১৯৮০ সালে নির্মূল হওয়া গুটিবসন্তের কাছাকাছি এই মাঙ্কিপক্স ভাইরাস। তবে এর লক্ষণগুলো অনেকটা চিকেনপক্সের মতো। প্রাথমিকভাবে আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বর, মাথাব্যথা, পেশি ব্যথা, পিঠে ব্যথা, ঠান্ডা লাগা ও ক্লান্তি। এর ফুসকুড়িগুলো মুখে ওঠা শুরু করে, পরে পুরো দেহে ছড়িয়ে পড়ে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, মানুষ থেকে মানুষে ছড়ানোর ক্ষেত্রে সাধারণত শ্বাস-প্রশ্বাসের ড্রপলেট এবং সংক্রমিত রোগীর ত্বকের ক্ষতের সংস্পর্শে এলে।