হাজার ছাড়াল করোনা শনাক্ত
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে শনাক্ত হাজার ছাড়িয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। এ নিয়ে টানা সাত দিন নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশের বেশি থাকল।
গত এক দিনে করোনা শনাক্তের হার চার মাসের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্তের হারের সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন এই হার ছিল ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এ সময়ে করোনা শনাক্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক জনের।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ হাজার ৫৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ১৩৫ জন করোনা নতুন রোগী পাওয়া গেছে। এর আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্তের সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নতুন শনাক্তের মধ্যে এক হাজার ৬৯ জন ঢাকা জেলার।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী করোনার কোনো ঢেউ চলার সময় শনাক্তের হার পরপর দুই সপ্তাহ যদি ৫ শতাংশের নিচে থাকে, তাহলে সেই ঢেউ নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে ধরা যাবে। বিপরীত দিক দিয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকার অবস্থার পর দুই সপ্তাহ শনাক্তের হার ৫ শতাংশের বেশি হলে করোনার পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধরা হবে।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনের করোনায় আসে দ্বিতীয় ঢেউ। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। একপর্যায়ে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর দেশে তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আসে করোনার আরেক ধরন ওমিক্রন। তৃতীয় ঢেউয়ের সময় ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত বেশি হলেও মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ দ্রুত নিয়ন্ত্রণেও আসে। গত ১১ মার্চ তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য বিভাগ।