দুধপানে শিশুর অনীহা কাটাবেন কীভাবে
২০০১ সালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ১ জুনকে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ওই বছর থেকে বৈশ্বিক খাদ্য হিসেবে দুধের গুরুত্ব তুলে ধরা এবং দৈনন্দিন খাদ্য গ্রহণে দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য অন্তর্ভুক্তকরণে উৎসাহিত দিতে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে।
‘পরিবেশ, পুষ্টি ও আর্থসামাজিক ক্ষমতায়নে টেকসই ডেইরি সেক্টর’- এ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ বছর সারাদেশে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ বলব বাচ্চারা কেন দুধ খেতে চায় না? এই সমস্যার সমাধানে মায়েদের করণীয় নিয়ে-
১. বাচ্চার দুধ কেন অপছন্দ তা বের করুন। যদি গন্ধ বা স্বাদ ভাল না লাগে- এজন্য খেতে না চায় তবে দুধের সাথে ভ্যানিলা ফ্লেভার, চকলেট ফ্লেভার বা ড্রাই ফ্রুটস গুড়ো যোগ করতে পারেন। এতে স্বাদ, গন্ধ ও রঙয়ের পরিবর্তন হয় এবং বাচ্চা পছন্দ করতে পারে।
আরও পড়ুন: দুধ নিয়ে গবেষণা করা ঢাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে মন্ত্রণালয়
২. শুধু তরল দুধ আকারেই তাকে দুধ খাওয়াতে হবে তা নয়। দুধের তৈরী খাবার যেমন- পুডিং, প্যান কেক, দই, আইস্ক্রীম তৈরী করে দিতে পারেন।
৩. দুধ দিয়ে বিভিন্ন রঙয়ের মিল্কশেক, স্মুদি বানিয়ে দিতে পারেন; যা বাচ্চারা পছন্দ করে।
৪. যোগ করতে পারেন জাফরান, যা দুধের বোরিং সাদা রঙটা দূর করতে পারে।
৫. দুধ খাবার পাত্রটি আকর্ষণীয় করুন। স্ট্র, মগ,কাপ বা ফ্লাক্স যেটাতে ও দুধ পান করবে, তা রঙিন ও আকর্ষণীয় রাখুন। সুপারম্যান, স্পাইডারম্যান, বারবি ডল আঁকা পাত্র ব্যবহার করতে পারেন।
৬. দুধ পানের পর ছোট্ট একটা গিফট দিয়ে উৎসাহিত করতে পারেন।
৭. শিশুকে দুধ তৈরী করতে দিন বা পাত্রে দুধ ঢালতে দিন। প্রয়োজনে আপনি সাহায্য করুন। এতে সে দুধ খাওয়ার আগ্রহ পাবে।
৮. দুধকে বাচ্চার কাছে ওষুধ খাওয়ার মত ভয়ের ব্যাপার না প্রকাশ করে দুধ খাওয়ার সময়টাকে আনন্দময় করে তুলুন। এজন্য সন্তানের সাথে নিজেরাও দুধ খেতে পারেন।
শুধু বাচ্চার নয়, পরিবারের সবারই (স্পেশাল শারীরিক সমস্যা ছাড়া) দুধ খাওয়া দরকার। ৩০ বছর বয়সের পর থেকে সকল মেয়ের ২৫০ মিলি দুধ গ্রহণ করা উচিত।
তবে মাথায় রাখতে হবে, দুধ খেলে শারীরিক সমস্যা হয় কিনা যেমন IBS, Lactose intolerance বা Casein intolerance আছে কি না। যদি এসব সমস্যা থেকে থাকে তবে তাকে দুধ দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং দুধের বিকল্প খাবার দিতে হবে।
লেখক: ডায়েটিশিয়ান, নিউরোজেন হেলথ কেয়ার লিমিটেড