করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। তিনি বলেন, এক দিনে ১ কোটির বেশি ডোজ টিকা দেয়াসহ অল্প সময়ে ২২ কোটি ডোজ ভ্যাক্সিন দিয়ে করোনা মহামারি থেকে দেশকে রুখে দেয়ায় ব্লুমবার্গ করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ৮ম অবস্থানে তুলে এনেছে।
বৃহষ্পতিবার (১০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় কিডনী ইন্সটিটিউটে, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব কিডনী ডিজিজেস এন্ড ইউরোলজী কর্তৃক ‘বিশ্ব কিডনী দিবস-২০২২’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, এই করোনায় বিশ্বের অনেক দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা যখন ভয়াবহ তখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। জিডিপি ৬ প্লাস হয়েছে। মানুষ এখন নিশ্চিন্তে আবার ব্যাবসা-বাণিজ্যে মন দিতে পারছে। এগুলি এমনি এমনি হয়নি। এর জন্য স্বাস্থ্য খাতকে দিনরাত কাজ করতে হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা একদিনেই ১ কোটি ২০ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছি, যা একটি রেকর্ড। আমরা এ পর্যন্ত প্রায় ২২ কোটি ডোজ টিকা দিতে সক্ষম হয়েছি। এর মধ্যে সাড়ে ১২ কোটি ডোজ ১ম, সাড়ে ৮ কোটি ডোজ ২য় এবং ৫০ লাখ বুস্টার ডোজ দিতে সক্ষম হয়েছি।
আরও পড়ুন: করোনায় ছোট হয়ে যেতে পারে মস্তিষ্ক! যে লক্ষণে নজর দেবেন
তিনি বলেন, এই টিকাদান কর্মসূচিতে লক্ষাধিক লোক কাজ করছে। সব টিকা ক্রয় ও টিকা দান কার্যক্রম মিলে এগুলোর পেছনে সব মিলিয়ে সরকারের প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহস করে এত বিশাল অংকের টাকার কথা না ভেবে দেশের সকলকেই টিকার আওতায় এনেছেন বলেই দেশবাসি এখন করোনায় অনেকটাই স্বস্তিতে রয়েছে, মানুষ আবার স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে নামতে পারছে।
দ্রুতই দেশের মানুষকে আরো বেশি সংখ্যক বুস্টার ডোজের আওতায় আনা হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যেভাবে প্রায় এক কোটি মানুষকে গণটিকা দেয়া হয়েছে, ঠিক সেভাবে দ্রুতই বুস্টার ডোজেরও ক্যাম্পেইন করা হবে। এতে করে দেশ আরো বেশি নিরাপদ থাকবে।
কিডনী রোগীর সংখ্যা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, দেশে এখন প্রায় ২ কোটি কিডনী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি আছেন। প্রতিদিন গড়ে ২০-৩০ হাজার মানুষ কিডনী রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এগুলির কারণে আমরা দেশের প্রতিটি জেলায় আলাদা করে ১০ বেডের ডায়ালাইসিস ও ১০ বেডের আইসিইউ বেড করার কাজ হাতে নিয়েছি।
জাহিদ মালেক বলেন, আট বিভাগে ৮ টি আধুনিক ক্যান্সার, কিডনী চিকিৎসা হাসপাতাল নির্মাণ করতে কাজ শুরু করা হয়েছে। এগুলি সম্পন্ন হলে দেশের মানুষ নিজ নিজ এলাকাতেই এরকম জটিল ও ব্যয়বহুল চিকিৎসা বিনামূল্যে গ্রহণ করতে পারবে।
ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব কিডনী ডিজিজেস এন্ড ইউরোলজীর পরিচালক মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব সাইফুল ইসলাম বাদল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম,নেফ্রলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. নিতাই চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ।