শঙ্কা রয়ে গেছে, এখনই মাস্ক খুলে ফেলার পরিস্থিতি হয়নি: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেছেন, অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না, মাস্ক পরছেন না। কিন্তু এখনই মাস্ক খুলে ফেলার পরিস্থিতি হয়নি। রবিবার (০৭ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চ্যুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি সর্বশেষ গত শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, এ সময় ১৩ জনের প্রাণ গেছে। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩৬৮ জন।
অধ্যাপক রোবেদ বলেন, অমিক্রনের প্রভাব কম বলে মনে করছেন অনেকে, কিন্তু ভাইরাসের মিউটেশন হচ্ছে। করোনার নতুন ধরন আসার শঙ্কা রয়েই গেছে।
দেশে করোনা পরিস্থিতি প্রায় সাড়ে তিন মাস নিয়ন্ত্রণে থাকার পর গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের প্রভাবে দ্রুত বাড়তে থাকে রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার। গত ৬ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজার ছাড়ায়। এর দুই সপ্তাহের মাথায় ২০ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্ত ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়।
আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যু কমলেও শনাক্ত বেড়েছে
সংক্রমণ বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় দৈনিক রোগী শনাক্ত ১৫ হাজারের ওপরে উঠেছিল। ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তা ১০ হাজারের ওপরেই ছিল। এরপর নিয়মিতভাবে রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার কমছে। দেশে করোনার সংক্রমণ কমায় আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে, তুলে দেওয়া হয়েছে বিধিনিষেধ।
করোনার কমতে থাকা প্রবণতার চিত্র তুলে ধরে আজ রোবেদ আমিন বলেন, ঢাকা শহরে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে মোট ৫ হাজার ৫৯টি শয্যা রাখা আছে। এর মধ্যে এখন খালি আছে ৪ হাজার ৬৬৬টি। দেশের বিভিন্ন জেলায় ১৩ হাজার ৭৩৫টি শয্যার মধ্যে ১২ হাজার ৯৩৭টি খালি আছে।
করোনায় এ পর্যন্ত ঢাকাতেই মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটেছে বলে অধ্যাপক আমিন পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। তিনি জানান, এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকায় মৃত্যু ৪৩ দশমিক ৯১ শতাংশ, চট্টগ্রামে ২০ দশমিক ১৫, খুলনায় ১২ দশমিক ৭৭, রাজশাহীতে ৭ দশমিক ৩৬, রংপুরে ৪ দশমিক ৮৭, সিলেটে ৪ দশমিক ৫৫, বরিশালে ৩ দশমিক ৩৭ ও ময়মনসিংহে ৩ শতাংশ।