০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২১:৫৮

করোনার টিকাদানে পিছিয়ে আছে সিলেট

করোনাভাইরাস  © সংগৃহীত ছবি

করোনার টিকাদানে সিলেট পিছিয়ে রয়েছে বলে জনিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা উন্নয়ন) প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। টিকা গ্রহীতার সংখ্যা বাড়াতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নিজ নিজ এলাকার পরিস্থিতি অনুযায়ী নতুন নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করতেও বলেছেন তিনি।

সিলেটে দুই দিনব্যাপী কোভিড-১৯ টিকাদানের সিলেট বিভাগীয় রিভিউ মিটিংয়ের শেষদিনে তিনি এ কথা বলেন। রিভিউ মিটিংয়ের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবারের সভায় সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: শুরু হচ্ছে বইমেলা, জানা গেল তারিখ

আজ বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেটের বিভাগীয় পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হিমাংশু লাল রায়।

মেডিকেল অফিসার ডা. সিধু সিংহের সঞ্চালনায় ইউএসআইডি ও সেভ দ্য চিলড্রেন সহযোগিতায় সভায় বক্তব্য রাখেন- এমএনসিঅ্যান্ড, এইচ স্বাস্থ্য অধিদফতর মহাখালী ঢাকা পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক, প্রোগ্রাম ম্যানেজার ইপিআই ডা. মওলা বক্স চৌধুরী, স্বাস্থ্য অধিদফদতরের এমআইএস প্রতিনিধি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. রাজেন্দ্র জোহারা, ডা. আরতি শ্রীকৃষ্ণ সিং, ইউনিসেফ প্রতিনিধি ডা. জুসি মেরিনা অধিকারী, প্যাথ বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. কামাল মেহেদী, এমএনসিএসপি সেইভ দ্য চিলড্রেন প্রতিনিধি ডা. মো. খায়রুল আলম ও সিলেট বিভাগের সহকারী পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. নূরে আলম শামীম প্রমুখ।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: মায়ের কিডনিতে নতুন জীবন পেলেন বেরোবির জাহিদ

এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে। ২০২০ সালের এপ্রিলের পর গত বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ। সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের মতো ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ।

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই বিশ্বে শুরু হয় ওমিক্রন ঝড়। ৩ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৩ শতাংশ এবং ৬ জানুয়ারি তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এরপর থেকে সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে।