ময়মনসিংহ মেডিকেলের করোনা ইউনিটে ৫ জনের মৃত্যু
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসকসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের করোনা শনাক্ত ও চারজনের উপসর্গ ছিল। শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেলের করোনা ইউনিটের ফোকালপারসন ডা. মহিউদ্দিন খান মুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃতরা হলেন—ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ডা. জাহেদুল ইসলাম (৬১), ঈশ্বরগঞ্জের মিম আক্তার (১৮), জামালপুরের রঘুনাথপুরের হালিম মিয়া (৬০), কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের আশালতা সরকার (৬৮) ও টাঙ্গাইলে মধুপুরের সামাদ (৫৫)।
আরও পড়ুন: উপসর্গ আছে তবুও করোনা নেগেটিভ, যা করবেন
ডা. মহিউদ্দিন বলেন, আইসিইউতে ৬ জনসহ এই হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মোট ৮৬ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এদের মধ্যে ৪৮ জন করোনা পজিটিভ। হাসপাতালের করোনা ইউনিটে নতুন ভর্তি হয়েছেন ১০ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫ জন।
ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব ও অ্যান্টিজেন টেস্টে ৩৭৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ১১৪ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: যে ৭ দেশে করোনা এখনো ঢুকতে পারে
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে। ২০২০ সালের এপ্রিলের পর গত বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ। সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের মতো ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ।
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই বিশ্বে শুরু হয় ওমিক্রন ঝড়। ৩ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৩ শতাংশ এবং ৬ জানুয়ারি তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এরপর থেকে সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে।