নিজেই টিকা হয়ে উঠতে পারে ওমিক্রন, ৩ মাসেই কাটবে ভয়াবহতা
বিশ্বব্যাপী করোনার ডেল্টা প্রজাতির দাপট যখন ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছিল। মনে করা হয়েছিল হয়ত ২০২২-এ সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে নতুন আলো দেখবে বিশ্ব। কিন্তু শেষ হল না করোনা। বরং নতুন প্রজাতি বিশ্বে দাপট দেখাতে শুরু করেছে। এই মুহূর্তে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের প্রায় সবকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের বর্তমান ভয়াবহতা আগামী তিন মাসের মধ্যেই কমতে শুরু করবে। একইসঙ্গে ওমিক্রন নিজেই কোভিডের টিকা হয়ে উঠতে পারে। এমননটিই জানিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। -খবর আনন্দবাজারের
আরও পড়ুন: বিপজ্জনক ‘ওমিক্রন’ আক্রান্তদের যেসব উপসর্গ দেখা যায়
আইসিএমআরের এপিডেমিওলজি অ্যান্ড কমিউনিকেবল ডিজিজেসের প্রধান চিকিৎসক সমীরণ পান্ডা গণমাধ্যমকে জানান, মানুষ যদি কোভিডবিধি সঠিকভাবে মেনে চলেন; তবেই করোনাভাইরাস সংক্রমণের রেখচিত্র নীচের দিকে নামবে।
সমীরণ বলেন, কম উপসর্গযুক্ত ওমিক্রনের সংক্রমণ করোনা অতিমারি শেষ করতে সাহায্য করতে পারে। ওমিক্রন নিজেই কোভিডের টিকা হিসেবে কাজ করতে পারে। যত বেশি সংখ্যক লোক সংক্রমিত হচ্ছেন, সংক্রমণ তত কম গুরুতর হচ্ছে। টিকা ওমিক্রন সংক্রমণের তীব্রতা কমাতে সক্ষম।
আরও পড়ুন: ‘ফ্যাশনের উপকরণ’ কাপড়ের মাস্ক ওমিক্রন ঠেকাতে ব্যর্থ: গবেষণা
এদিকে, ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে সংগৃহীত করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষায় প্রায় ৮৪ শতাংশই ওমিক্রন পাওয়া গেছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারতে ২৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ওমিক্রন ধরন ছড়িয়ে গেছে। তার মধ্যে মহারাষ্ট্রে সর্বোচ্চ ৫১০ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছে।
আইসিএমআরের প্রধান চিকিৎসক আরও জানান, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন বয়স্কদের উপর কী প্রভাব ফেলবে তা আমরা জানি না। তাই আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত। তাঁর এ ধরনের বক্তব্যের সঙ্গে বহু বিশেষজ্ঞও একমত বলে দাবি করেছেন তিনি।
সমীরণের দাবি, ‘‘কোভিডের রেখচিত্র আগামী তিন মাসেই কমতে পারে। আর তার জন্য চারটি জিনিস মেনে চলতে হবে। টিকাকরণে পিছিয়ে থাকা অঞ্চলগুলোতে টিকার সংখ্যা বাড়াতে হবে; জনগণকে ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে, অপ্রয়োজনীয় কারণে বাইরে বেরনো বন্ধ করতে হবে এবং টিকা নেওয়ার পাশাপাশি মাস্কের ব্যবহার বজায় রাখতে হবে।’’
এদিকে, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ঠেকাতে দেশব্যাপী ১৫ দফা নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নির্দেশনায় সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জনসমাগমে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। পাশাপাশি পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার ও রেস্তোরাঁয় মানুষের উপস্থিতি ধারণ ক্ষমতার অর্ধেকের মধ্যে সীমিত রাখতে বলা হয়েছে।