ওমিক্রন ডেল্টা থেকে দুর্বল: ড. বিজন
অণুজীববিজ্ঞানী ও সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল জানিয়েছেন, ওমিক্রনে ডেল্টার চেয়ে একটা পজিটিভ চার্ট বেশি। ডেল্টা ধরনে খুব শক্তিশালী একটা স্ট্রেইন ছিল পি৬৮১ পজিশনে, ওমিক্রনে এটা খুব বেশি শক্তিশালী নয়, দুর্বল। এটা যদি হলমার্ক হয়, তাহলে বর্তমানের ওমিক্রন ধরন ডেল্টার মতো ভয়ংকর নাও হতে পারে।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. বিজন বলেন, ওমিক্রনের সিকুয়েন্সিং ডাটা আমি দেখেছি, করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের সঙ্গে তুলনা করে দেখলাম, ওমিক্রনের প্রায় ৫০ বার মিউটেশন হয়েছে। এর মধ্যে ৩০টা মিউটেশন হয়েছে স্পাইক প্রোটিনে। আবার ১০টা মিউটেশন হয়েছে রিসেপ্টার ডোমেইন সাইডে।
তিনি বলেন, ভাইরাসের যে অংশটি প্রথম মানুষের দেহকোষের সঙ্গে সংযোগ ঘটায় তার নাম রিসেপ্টার বাইন্ডিং ডোমেইন।
গবির এ অধ্যাপক বলেন, ওমিক্রন বিষয়ে পর্যাপ্ত গবেষণা এখনও হয়নি, তবে বর্তমান সিকোয়েনসিংয়ে আমি যা দেখলাম, তাতে এটা ডেল্টার চেয়ে বেশি ভয়ংকর নয়, তবে সে আবারও পরিবর্তিত হতে পারে।
নতুন ভ্যারিয়েন্টে টিকা কার্যকরের বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে করোনার যেকোনো টিকা প্রায় ৭০ শতাংশ সুরক্ষা দেবে। শুধু ওমিক্রন নয়, যদি আগের ওয়ান ভাইরাসও আসে মানুষের শরীরে ঢুকলে সে গ্রো করবে এটা নিশ্চিত। তবে যাদের শরীরে অ্যান্টিবডি রয়েছে, তাদের শরীরে ভাইরাসটি ঢুকে যখন রক্তের সংস্পর্শে আসবে, তখনই ভাইরাসটি মারা যাবে।