৩১ আগস্ট ২০২১, ১৭:২৪

টিকাদানে দক্ষিণ এশিয়ায় তলানিতে বাংলাদেশ

করোনাভাইরাসের টিকা  © প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার হার অনুযায়ী একেবারেই সন্তোষজনক অবস্থানে নেই বাংলাদেশ। জনসংখ্যার দিক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এরপরের দেশটি হলো আফগানিস্তান।

এদিকে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে অর্থাৎ দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। আর প্রথম অবস্থানে ভারত। বাংলাদেশে গতকাল সোমবার পর্যন্ত মারা গেছেন ২৬ হাজার ১০৯ জন। একই সময়ে ভারতে মারা গেছেন ৪ লাখ ৩৮ হাজার ২১০ জন।

আর বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৭৪ লাখ ১০ হাজার ৪৮০ জনকে করোনার দুই ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে, যা মোট জনসংখ্যার চার দশমিক ৫৫ শতাংশ মাত্র। অন্যদিকে আফগানিস্তানে এক দশমিক ১৩ শতাংশ মানুষ দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন।

গতকাল পর্যন্ত জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী এটি জানা গেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় সবার ওপরে আছে ভুটান। দেশটিতে ৬২ দশমিক ৩০ শতাংশ মানুষকে পূর্ণ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। আবার দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে কম সংখ্যক মানুষ মারা গেছেন ভুটানে। দেশটিতে এ পর্যন্ত মারা গেছেন তিন জন।

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সেখানে শনাক্ত হয়েছেন তিন কোটি ২৭ লাখ ৩৭ হাজার ৯৩৯ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশে একই সময়ে মোট শনাক্ত হয়েছেন ১৪ লাখ ৯৭ হাজার ২৬১ জন। সবচেয়ে কম সংখ্যক শনাক্ত ভুটানে।

গত ২৬ আগস্ট পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে ছয়টি দেশের শনাক্তের হার বিবেচনায় দেখা গেছে সবার ওপরে আছে শ্রীলংকা। দেশটিতে শনাক্তের হার ৩২ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা নেপালে শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ, তৃতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের শনাক্তের হার ১৪ শতাংশ, পাকিস্তানের শনাক্তের হার ছয় দশমিক ৯ শতাংশ, ভারত ও মালদ্বীপ উভয় দেশে শনাক্তের হার এক দশমিক ৯ শতাংশ। আফগানিস্তান ও ভুটানের তথ্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, আটটি দেশের মধ্যে গত বছর ২৩ জানুয়ারি নেপালে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। শ্রীলংকায় ২৭ জানুয়ারি, ভারতে ৩০ জানুয়ারি, আফগানিস্তানে ২৪ ফেব্রুয়ারি, পাকিস্তানে ২৬ ফেব্রুয়ারি, ভুটানে ৬ মার্চ, বাংলাদেশে ৮ মার্চ ও মালদ্বীপে ২৭ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়।