ওঠানামা করছে করোনা শনাক্তের হার
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে। গত কয়েক মাসে লাগামহীন যে ঊর্ধ্বগতি ছিল সেটি একেবারে নেই বললেই চলে। তবে সর্বশেষ গত তিন দিন ধরে রোগী শনাক্তের হার ওঠানামা করছে।
গত শুক্রবার পর্যন্ত শনাক্তের হার ক্রমেই কমছিল। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ১২ দশমিক ৭৮ শতাংশ। কিন্তু গত দুদিনের মধ্যে এক দিন কমেছে ও আরেক দিন বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই হার আগের দিনের থেকে কিছুটা বেড়ে ১৪ দশমিক ১৪ শতাংশে উঠে আসে। এর আগের দিন গত শনিবার এই হার ছিল ১৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৭ হাজার ৯২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩ হাজার ৯৪৮ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা আগের ২৪ ঘণ্টায় ছিল ৩ হাজার ৪৩৬ জন। এ নিয়ে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৪ লাখ ৯৩ হাজার ৫৩৭ জন।
পাশাপাশি দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মারা গেলেন ২৬ হাজার ১৫ জন। ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৪৬৬ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৯৭ জন।
মৃত্যু ২৬ হাজার ছাড়াল
গত ২৪ ঘণ্টা আরও ৮৯ জনের মৃত্যুতে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মৃতের মোট সংখ্যা ২৬ হাজার ছাড়িয়ে গেল। এর আগে গত ২০ আগস্ট দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর মোট সংখ্যা ২৫ হাজারের মাইলফলক পেরিয়ে গিয়েছিল। নয় দিনে মৃতের তালিকায় যুক্ত হলো আরও এক হাজার নাম। মৃতের মোট সংখ্যা ২৪ হাজার থেকে ২৫ হাজারে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল পাঁচ দিন, তার আগে ২৩ থেকে ২৪ হাজার হতেও একই রকম সময় লেগেছিল।
ঢাকা বিভাগে শনাক্ত ও মৃত্যু বেশি
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকা (মহানগরসহ) বিভাগে সবচেয়ে বেশি রোগীর শনাক্ত ও মৃত্যু হয়েছে। এ বিভাগে নতুন শনাক্ত রোগী ২ হাজার ৪৬৮ জন। এ দিন ঢাকার বিভিন্ন জেলায় ২৭ জনের মৃত্যু হয়।
রংপুরে শনাক্ত ও ময়মনসিংহে মৃত্যু কম : গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে রংপুর বিভাগে সবচেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ বিভাগে নতুন শনাক্ত রোগী ৯৯ জন। এ দিন বিভাগে বিভিন্ন জেলায় ৫ জনের মৃত্যু হয়।
এ সময় ময়মনসিংহ বিভাগে সবচেয়ে কম রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ দিন ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলায় দুজনের মৃত্যু হয়। এ বিভাগে নতুন শনাক্ত রোগী ৮৭ জন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ২১, রাজশাহী বিভাগে ৭, খুলনা বিভাগে ৯, বরিশাল বিভাগে ৮ এবং সিলেট বিভাগে ১০ জনের মৃত্যু হলেও এসব বিভাগে শনাক্তের হার আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। ৮৯ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৬৯, বেসরকারি হাসপাতালে ১৮ এবং বাড়িতে ২ জন মারা যান।