লকডাউন শিথিলের মধ্যেই করোনার সব সূচকই নিম্নমুখী
গত ১১ আগস্ট থেকে দেশে লকডাউন শিথিল করে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস, ব্যাংক থেকে শুরু করে গণপরিবহন, শপিং মল, দোকানপাট খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এই সময়ে করোনার নমুনা পরীক্ষা, শনাক্ত, সুস্থ রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে।
চলতি বছরের করোনা সংক্রমণের ইপিডেমিওলজিক্যাল ৩২তম সপ্তাহে (৯ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত) দুই লাখ ৯১ হাজার ১১১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন ৬৫ হাজার ২০৭ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৮৭ হাজার ২৫১ ও মারা গেছেন এক হাজার ৫২৩ জন।
এর আগে ৩১তম সপ্তাহে (২ থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত) রাজধানীসহ সারাদেশের সরকারি ও বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে মোট তিন লাখ ২৬ হাজার ৯৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
একই সময়ে পরীক্ষায় আক্রান্ত হিসেবে ৮৯ হাজার ৩৬৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ১২ হাজার ১৮১ ও মারা গেছেন এক হাজার ৭৩৬ জন।
এই দুই সপ্তাহের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যায়, নমুনা পরীক্ষা, শনাক্ত, সুস্থতা ও মৃত্যুহার কমেছে যথাক্রমে ১০ দশমিক ৯৭ শতাংশ, ২৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, ২২ দশমিক ২২ শতাংশ ও ১২ দশমিক ২৭ শতাংশ।
সোমবার (১৬ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা সম্পর্কিত হেলথ বুলেটিন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ১৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ছয় হাজার ৯৫৯ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সারাদেশের সরকারি ও বেসরকারি ৭১৭টি ল্যাবরেটরিতে ৩১ হাজার ৮০৪টি নমুনা সংগ্রহ ও ৩৩ হাজার ১৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন নয় হাজার ২৬৮ জন। সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৩১ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।