টিকাদানে পিছিয়ে বাংলাদেশ, শীর্ষে ভুটান
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে করোনার গণটিকাদানের ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে (মালদ্বীপ বাদে) টিকাদান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পেছনের রয়েছে শুধু আফগানিস্তান। এ তালিকায় ৬২ শতাংশ মানুষকে টিকা দিয়ে সবার শীর্ষে অবস্থান করছে ভুটান।
উন্নয়নশীল বিশ্বে টিকাদান পর্যবেক্ষণে আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাংক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত টাস্ক ফোর্সের প্রতিবেদনে এই চিত্র দেখা যায়। তাদের ওয়েবসাইটটি শুক্রবার চালু করা হয়।
ওয়েবসাইটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনসংখ্যার বিপরীতে কত শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে, দেশগুলো কত টিকার সরবরাহ নিশ্চিত করতে পেরেছে, তাদের গণটিকাদানের গতি কেমন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কত মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য এসব নানা বিষয়ে তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়।
টাস্কফোর্স গতকাল শুক্রবার ওয়েবসাইট চালুর পাশাপাশি তাদের দ্বিতীয় বৈঠক পরবর্তী একটি যৌথ বিবৃতিও দিয়েছে। আইএমএফের ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘উন্নয়নশীল বিশ্বে মানুষের জন্য টিকা সরবরাহ, পরীক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরি, যা আমরা পুনর্ব্যক্ত করছি। নিম্ন ও নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে টিকা সরবরাহ উদ্বেগজনকভাবে কম, বিশেষ করে চলতি বছরের বাকি সময়ের ক্ষেত্রে।’
টাস্কফোর্সের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত মোট জনসংখ্যার ২ দশমিক ৬১ শতাংশকে দুই ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ভুটান, প্রায় ৬২ শতাংশ। এরপরে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, ৯ দশমিক ৩১; ভারত ৭ দশমিক ২৪, নেপাল ৫ দশমিক ৩২ ও পাকিস্তান ২ দশমিক ৬৭ শতাংশ। সবার পেছনে থাকা আফগানিস্তানে মোট জনসংখ্যার শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ দুই ডোজ টিকা পেয়েছে।
জনসংখ্যার অনুপাতে এক ডোজ টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে বাংলাদেশ। সার্কভুক্ত দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি এক ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ভুটানে, ৬৩ শতাংশ। এরপরে রয়েছে শ্রীলঙ্কা (৪০ দশমিক ৭২), ভারত (২৫ দশমিক ৮১), নেপাল (১২ দশমিক ৫৩), পাকিস্তান (৪ দশমিক ২১), বাংলাদেশ (৪ দশমিক ১৮) ও আফগানিস্তান (১ দশমিক ৯৬)।
টাস্কফোর্সের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ এ পর্যন্ত টিকা পেয়েছে প্রায় ২ কোটি ৫৮ লাখ। তবে জনসংখ্যার ৪০ শতাংশকে এ বছরের শেষ নাগাদ টিকা দিতে প্রয়োজন প্রায় ১৩ কোটি ১৮ লাখ ডোজ টিকা।