স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের টিকা নিয়ে কাজ করছে সরকার
বিশ্বের কয়েকটি দেশে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। সরকার এ বিষয়ে পরামর্শ চেয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করছে। কোভিড-১৯ সম্পর্কিত কারিগরি কমিটি এবং ভ্যাকসিনেশন কমিটি এটা নিয়ে কাজ করছে। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।
এদিকে ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজারি গ্রুপসের (এনআইটিএজি) সদস্য অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, কীভাবে স্কুল-কলেজ আবার খুলে দেওয়া যায় এবং কীভাবে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া যায় সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমেরিকা, যুক্তরাজ্যসহ বেশ কিছু দেশে ১২ থেকে ১৮ বছরের শিক্ষার্থীদের ফাইজার টিকা দিচ্ছে।
এছাড়া কোভিড-১৯ সম্পর্কিত জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা কমিটির (এনটিএসি) প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, কমিটি শিগগির শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের টিকা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পুনরায় চালু করার সুপারিশ করেছে। কম বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শের অপেক্ষায় আছি।
এর আগে গত রবিবার ইউনিসেফ এবং ইউনেস্কো এক যৌথ বিবৃতিতে বিভিন্ন দেশের সরকারকে ‘প্রজন্মের বিপর্যয়’ এড়াতে নিরাপদভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আহ্বান জানায়। এতে বলা হয়, করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর ১৮ মাস পেরিয়ে গেছে এবং লাখো শিশুর পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত, বিশ্বের ১৯টি দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। এর ফলে ১৫ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বাংলাদেশে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত।