কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কারা টিকার নিবন্ধন করতে পারবেন (তালিকা)
করোনাভাইরাসের টিকার নিবন্ধন এখনও সবার জন্য উন্মুক্ত হয়নি। তবে এই টিকার নিবন্ধনবিষয়ক সরকারি ওয়েবসাইটে (surokkha.gov.bd) মাত্র তিনটি ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন চলছে। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে নিবন্ধন শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
‘সুরক্ষা’ ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এখন শুধু সম্মুখ সারির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, চিকিৎসা-শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ছাত্রছাত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর শিক্ষার্থীদের নিবন্ধনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যদিও আগে সুরক্ষা সাইট ও অ্যাপে ২৪টি ক্যাটাগরিতে নিবন্ধনের ব্যবস্থা ছিল।
একই দিনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) জানিয়েছে, দেশের স্বায়ত্ত্বশাসিত ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যেসব আবাসিক শিক্ষার্থীর তালিকা (জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরসহ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে (এমআইএস) জমা দেওয়া হয়েছে, সেসব শিক্ষার্থী করোনার টিকাসংক্রান্ত সুরক্ষা ডটকমে প্রবেশ করে টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।
এর আগে গত ৩১ মে পর্যন্ত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ১ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর তালিকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠিয়েছে।
ইউজিসি সূত্র জানায়, দেশে শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে তিনটি অ্যাফিলাইটিং ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় বাদে মোট ৩৮ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২০টি আবাসিক হলের এক লাখ তিন হাজার ১৫২ জন শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রসহ তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া টিকা নেননি এমন চার হাজার ১৩৯ জন শিক্ষক ও আট হাজার ৩৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর তথ্যও পাঠানো হয়েছে, যারা প্রথম ধাপে টিকা পাবেন। এর বাইরে আবাসিক হলে থাকা আরও প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী আছেন, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র দেখিয়েই টিকা নিতে পারবেন। মোট এক লাখ ৩১ হাজার আবাসিক শিক্ষার্থীকে প্রথম পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল।
এদিকে গত মঙ্গলবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট আলোচনার সময় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের টিকাদান শেষ হলেই সরকার উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে পারবে বলে আশা করে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ঘোষণার দু’দিনের মধ্যে ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন শুরু করতে বললো।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক দফা পরিকল্পনা করেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় শ্রেণিকক্ষে ক্লাস শুরু করা সম্ভব হয়নি।
তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন