অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা চান চীনে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চীনের সিনোফার্মের টিকা দিতে দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছেন। এসময় বিশেষ ব্যবস্থায় স্টুডেন্ট ভিসা চালু করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও চীনা রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা। করোনার টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় চীনে অধ্যয়নরত ছয় থেকে সাত হাজার শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার (২১ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই শিক্ষার্থীরা এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানান।
শিক্ষার্থীরা জানান, চীনে ফিরে যেতে না পারলে তাদের শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বারবার আশ্বাস দিয়েও টিকার ব্যবস্থা করেনি। অপরদিকে রাজধানীর তিনটি হাসপাতালে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম দিন এই টিকা পাচ্ছেন ৩৬০ জন। প্রতিটি কেন্দ্রেই টিকা প্রত্যাশীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, রাষ্ট্রের কাছে আমাদের প্রত্যাশা সামান্য। আমরা চীন থেকে আসা ভ্যাকসিনে অগ্রাধিকার চাই। আমরা ক্যাম্পাসে ফিরতে চাই। আমাদের চাইনিজ ইউনিভার্সিটি, চাইনিজ সরকার এবং বাংলাদেশে অবস্থিত চাইনিজ দূতাবাসের পক্ষ থেকে অনেকটাই আন্তরিকতা দেখাচ্ছে এবং তারা আমাদেরকে ফিরিয়ে নিতে চায় ভ্যাকসিনেশন করে।
শিক্ষার্থীরা জানান, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শিক্ষার্থীদের যথেষ্ট সহযোগিতা করে যাচ্ছে। আমাদেরকে চীনে ফেরাতে মন্ত্রণালয় আপ্রাণ চেষ্টা করছে। এ জন্য সার্বক্ষণিক যোগাযোগও রক্ষা করছে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা অধিদফতরের একটু গাফিলতির কারণে চাইনিজ ভ্যাকসিন পাওয়া থেকে অনিশ্চয়তায় মধ্যে পড়েছি। আমরা আশা করবো, স্বাস্থ্য অধিদফতর আমাদের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবে, যাতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে অবস্থানরত চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা ফিরে যেতে পারি।