১০ মে ২০২১, ০৮:৩৩

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে একজন থেকে ৪শ জনের আক্রান্তের শঙ্কা

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে একজন থেকে ৪শ জনের আক্রান্তের শঙ্কা  © সংগৃহীত

দেশে ভারতের মিউটেন্ট ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। ভারতের ভ্যারিয়েন্টটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, এই ভ্যারিয়েন্টে একজন থেকে ৪০০ জন পর্যন্ত মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। এমনটিই জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

রবিবার বিএসএমএমইউর এ-ব্লক অডিটোরিয়ামে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল সেমিনার সাব-কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘কোভিড-১৯ আপডেট’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশে ভারতের মিউটেন্ট ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসারে এ বছর ঈদে বাড়িতে না গিয়ে যে যেখানে আছেন সেখানেই ঈদ করুন। এমনকি বর্তমান পরিস্থিতিতে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাওয়াও ঠিক হবে না।

পড়ুন: ঈদের পর করোনা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা

ভ্যাকসিন কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে হতাশার কারণ নাই। ইতোমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। শুধু ভারত নয়, পৃথিবীর যে দেশ থেকেই অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে সেখান থেকেই তা সংগ্রহ করা হবে।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট নির্ধারণে জেনোম সিকোয়েন্সিং করা হচ্ছে, এন্টিবডি পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের সাফল্যের হার শতকরা ৯৮ শতাংশ।

এদিকে, একই কথা জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও। দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, কেরল, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, গুজরাট ও তামিলনাড়ুতে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা লক্ষাধিক। লকডাউন ও সামাজিক দূরত্বের মতো বিষয়গুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়িত না হলে একজন করোনা রোগীর কাছ থেকে ৩০ দিনে সংক্রমিত হতে পারে আরও ৪০৬ জন।