ঢামেকের তিন চিকিৎসকের নাচের ভিডিও ভাইরাল

 ইন্টার্ন ডা. শাশ্বত চন্দন, ডা. আনিকা শ্যামা ও সিনিয়র ডা. দীপা বিশ্বাস
ইন্টার্ন ডা. শাশ্বত চন্দন, ডা. আনিকা শ্যামা ও সিনিয়র ডা. দীপা বিশ্বাস  © ছবি : সংগৃহীত

করোনাভাইরাস মহামারিতে চারপাশে মৃত্যু আর কান্নার আহাজারি। রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় নেই চিকিৎসকদের। এমন পরিস্থিতিতে সহকর্মীদের মনোবল আরও দৃঢ় করতে একটি নাচের ভিডিও তৈরি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক তিন চিকিৎসক। ইতিমধ্যেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়ে নাচের আয়োজনটি করেছিলেন সার্জারি বিভাগের ইন্টার্ন ডা. শাশ্বত চন্দন, ডা. আনিকা শ্যামা ও সিনিয়র ডা. দীপা বিশ্বাস। ভিডিওতে থাকা ডা. শাশ্বত চন্দন গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় তার নিজের ফেসবুক ওয়ালে ভিডিওটি আপলোড করেন। মুহূর্তেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। মহামারিতে সহযোদ্ধাদের মধ্যে উষ্ণতা নিয়ে এসেছে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া নাচের এই ভিডিওটি। 

ভিডিওতে দেখা যায়, ঢামেক হাসপাতালের জেনারেল অপারেশন থিয়েটারের (ওটি) করিডরে একজন পুরুষ ও দুইজন নারী চিকিৎসক মুখে মাস্ক দিয়ে সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় ‘নয়া দামান’ গানে নাচেন। তাদের এই ভিডিও দেখে ডাক্তারদের মধ্যে একটি উৎফুল্ল ভাব এসেছে।

ভিডিওটি তৈরি করার উদ্দেশ্য সম্পর্কে ডা. শাশ্বত চন্দন বলেন, আমরা সার্জারি বিভাগে ডিউটি করি। অনেকদিন থেকে চেষ্টা করছিলাম এমন একটা ভিডিও তৈরি করব, যাতে আমাদের ডাক্তারদের মাঝে মনোবল বাড়ে। কয়েক মিনিট প্রাকটিস করেই মূলত ভিডিওটি তৈরি করা।

ভিডিওতে থাকা আরেক ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. আনিকা শ্যামার বলেন, ‘যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে’। ডাক্তাররা যে শুধু রোগীর সেবা করবে তাদের মধ্যে অন্য কোনো প্রতিভা থাকতে পারে না, বিষয়টি এমন নয়। চিকিৎসকদের মাঝেও যে প্রতিভা থাকতে পারে এটা তার প্রমাণ। মাত্র কয়েক মিনিটের কোরিওগ্রাফিতে ভিডিওটি করি আমরা।

তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশের করোনা পরিস্থিতি দেখে আমাদের মধ্যে একটি আইডিয়া তৈরি হয়। করোনার এই দুঃসময়ে চিকিৎসকদের মনোবল যেনো ভেঙে না পড়ে, সেজন্যই মূলত ভিডিওটি তৈরি করা। ভিডিওটি এতোটা ভাইরাল হবে বিষয়টি আমরা বুঝতে পারিনি। সবাই ভিডিওটিকে পজিটিভভাবে নিয়েছে। সামান্য একটি ভিডিও চিকিৎসকদের মনোবলকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

ঢামেক হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী সার্জন মো. মোশারফ হোসেন সিজান বলেন, অবশ্যই আমরা সবাই ইতিবাচক নিয়েছে। ভিডিওটি দেখে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে এবং বোঝার আছে। এটা দেখে অনেকে কাজে আরও মনোনিবেশ করতে পারবেন বলে আমার ধারণা। কাজের ফাঁকে সুন্দর একটি ভিডিও বানানোর জন্য জুনিয়র সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানাই।


সর্বশেষ সংবাদ