করোনায় ছয় দিনেই ৫ চিকিৎসকের মৃত্যু
করোনায় আক্রান্ত হয়ে সোমবার (২৬ এপ্রিল) আরও একজন চিকিৎসক মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশে চলতি মাসে মারা গেলেন ১৮ জন চিকিৎসক। তাদের মধ্যে গত ৫ জন চিকিৎসক ছয় দিনেই মারা গেছেন।
সর্বশেষ মারা গেছেন ল্যাবএইড হাসপাতালের ম্যানেজমেন্ট কমিটির পরিচালক ও চিফ কার্ডিয়াক অ্যানেসথেসিওলজিস্টস ডা. মো. মাহবুবুল ইসলাম (৬৫)। সোমবার ভোরে ল্যাবএইড হাসপাতালের অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) তথ্য অনুযায়ী, করোনায় সংক্রমিত হয়ে বা করোনার উপসর্গ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত ১৪৯ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় প্রথম কোনো চিকিৎসকের মৃত্যু হয় গত বছরের ১৫ এপ্রিল। গত জুনে সবেচেয়ে বেশি চিকিৎসক মারা যান।
বিএমএ জানায়, জুন মাসে মারা যান ৪৫ জন চিকিৎসক। গত বছরের শেষ দিকে করোনার সংক্রমণ কমে এলে চিকিৎসকের মৃত্যুও কমতে থাকে। এ বছরের মার্চ থেকে মৃত্যুর সংখ্যা আবার বাড়তে থাকে।
সারা দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৯১১ জন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিএমএ।
গত রবিবার (২৫ এপ্রিল) একদিনে করোনায় প্রাণ হারান দুই চিকিৎসক। তাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন কিশোরগঞ্জের আবদুল হামিদ মেডিক্যাল কলেজের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবির মুকুল এবং টঙ্গীর আহসান উল্লাহ জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার ডা. আশীস কুমার বণিক।
তার আগের দিন শনিবার (২৪ এপ্রিল) মারা যান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল খায়ের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান। সেদিন সকালে রাজধানীর শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর গ্রিনলাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যাপক ডা. মো. ফজলুল হক। তিনি চক্ষু বিশেষজ্ঞ ছিলেন।
বিএমএ জানিয়েছে, অধ্যাপক ডা. ফজলুল হক স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বয়স হয়েছেল ৬৮ বছর।