দেশে এবার করোনার নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত

করোনার শনাক্তে নমুনা সংগ্রহ
করোনার শনাক্তে নমুনা সংগ্রহ  © সংগৃহিত

করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবায় বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব বাংলাদেশেও এর প্রকোপ থেকে নেই। দিন দিন বেড়েই করোনার প্রকোপ। দেশে করোনার ইতালি, যুক্তরাজ্য ও আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টের পর এবার নাইজেরিয়ার ভ্যারিয়েন্টের (বি.১.৫২৫) অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটার (জিসএইড) ওয়েবসাইটে আপলোড করা তথ্য থেকে এসব জানা যায়। জিসএইড এ এসব তথ্য আপলোড করে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর), আইডিইএসএইচআই (আইদেশি) এবং চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন।

দেশের গবেষকরা মার্চ ও এপ্রিল মাসের সংগ্রহ করা ৮টি নমুনার সিকোয়েন্সিং করে এই ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি টের পেয়েছেন। তবে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

জিসএইডের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত দেশের দুই বিভাগের ৮টি নমুনা পরীক্ষায় এই ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ঢাকার উত্তরা, আজিমপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার পাশাপাশি সিলেটের সুনামগঞ্জ থেকে সংগ্রহ করা নমুনায় এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এসব নমুনা এই বছরের মার্চ ও এপ্রিল মাসে সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে পুরুষ ৬ জন এবং নারী দুজন।

তবে এই ভ্যারিয়েন্ট কতটা সংক্রামক, এটি রোগীর জন্য কতটা ক্ষতিকর, সে বিষয়ে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া যায়নি।

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই জানিয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর বলেন, দেশে অনেক ধরনের গবেষণায় অনেক কিছুই মিল পাওয়া যাবে। তবে এ বিষয়ে আমাদের কাছে এমন কোনো তথ্য নেই। তবে সম্প্রতি আমাদের দেশে করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে একটি গবেষণা হচ্ছে, এটা শেষ হতে কিছু দিন সময় লাগবে।

উল্লেখ্য, করোনা মহামারিতে এই ভাইরাসের জিনম সিকোয়েন্সিং করে সারা বিশ্বকে তথ্য দিচ্ছে গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটা (জিসএইড)। ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি এই উদ্যোগটি নতুন করোনা ভাইরাস সার্স কোভ টু এর জিনম সিকোয়েন্স করে। এর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশল নির্ধারণ, টিকা আবিস্কারসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হয়। এখন পর্যন্ত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা ৬৭ হাজার ৫২৪ এর বেশি করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স ডেটা গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা (জিএসএআইডি)-তে প্রকাশ করেছেন। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করতে ২০০৮ সালে এই বৈশ্বিক উদ্যোগটি গড়ে উঠে। এটি জার্মান সরকারের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে পরিচালিতে একটি প্রতিষ্ঠান।


সর্বশেষ সংবাদ