বোঝা প্রয়োজন, করোনায় রক্তে জমাট বাঁধার সম্ভাবনা কতটুকু বাড়ে
সম্প্রতি পশ্চিমা বিশ্বে আলোচিত করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার পর রক্ত জমাট বাধার সম্ভাব্য সমস্যা নিয়ে গবেষণাধর্মী ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি চিকিৎসক ডা. তাসনিম জারা। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এভিডেন্স বেজড মেডিসিন’ নিয়ে পড়ছেন।
আজ মঙ্গলবার ডা. তাসনিম জারা তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে বিস্তারিত একটি পোস্ট দেন। দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের পাঠকদের জন্য পোস্টটি হুবহু এখানে দেওয়া হলো:
‘অনেকের ধারণা যে শুধু অক্সফোর্ড-আস্ত্রাজেনেকা টিকা নিলেই রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। তবে বোঝা প্রয়োজন যে করোনা হলে রক্তে জমাট বাঁধার সম্ভাবনা কতটুকু বাড়ে। অন্যান্য টিকাতেও একই সম্ভাবনা রয়েছে কিনা।
নতুন গবেষণায় এ বিষয়ে তুলনামূলক চিত্র উঠে এসেছে। প্রথমত, উভয় ক্ষেত্রেই দেখতে পাচ্ছেন যে টিকার চেয়ে কোভিড-১৯ হলে রক্ত জমাট বাঁধা সংক্তান্ত জটিলতার ঝুঁকি ৮ থেকে ১০ গুন বেড়ে যায়।
ডান পাশে দেখছেন PVT (লিভারে রক্ত জমাট বাঁধা সংক্রান্ত জটিলতা) এর চিত্র। প্রতি ১ মিলিয়ন মানুষ যারা ফাইজার বা মডার্নার টিকা নিয়েছে তাদের মধ্যে এই জটিলতা হওয়ার সম্ভাবনা যারা অক্সফোর্ড-আস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছে তাদের থেকে প্রায় ৩০ গুন বেশি। ফাইজার বা মডার্নার টিকা নিয়েছে তাদের মধ্যে প্রতি মিলিয়নে প্রায় ৪৫ জন আর যারা অক্সফোর্ড-আস্ট্রাজেনেকা টিকা নিয়েছে তাদের মাঝে প্রায় ২ জন।
বাম পাশে আমরা দেখতে পাচ্ছি CVST (ব্রেনে রক্ত জমাট বাঁধা সংক্রান্ত জটিলতা) নিয়ে তথ্য। এখানে দেখছেন করোনা আক্রান্ত হলে এই ধরনের রক্ত জমাট বাঁধা সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি - প্রতি মিলিয়নে প্রায় ৩৯ জন। আর ফাইজার ও মডার্নার ক্ষেত্রে প্রায় ৪ জন। আস্ট্রাজেনেকার ক্ষেত্রে ৫ জন।
এই নতুন গবেষণাটি প্রিপ্রিন্ট পর্যায়ে রয়েছে। গবেষণাটির লিঙ্ক: https://osf.io/a9jdq/’