করোনা পজিটিভ সনদ নিয়ে বাংলাদেশে আসলেন এক ব্যক্তি, ফ্লাইটে ছিল ১৫০ যাত্রী

শাহজালাল বিমান বন্দর
শাহজালাল বিমান বন্দর  © ফাইল ছবি

ওমানের মাস্কাট থেকে আসা এক যাত্রী কোভিড-১৯ পজিটিভ সনদ নিয়েই বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেছেন। তিনি সালাম এয়ারের ওভি-৩৯৭ ফ্লাইটে করে দেশে আসেন। ওই ফ্লাইটে তার সঙ্গে আরও প্রায় ১৫০ যাত্রী ছিলেন। কোভিড-১৯ পজিটিভ সনদ নিয়ে ঘুরেছেন মাস্কাটের বিমানবন্দর, চেক-ইন, ইমিগ্রেশনসহ সংবেদনশীল সব জায়গায়।

বাংলাদেশে এসে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ডেস্কের দীর্ঘ লাইনে। ৩০ মিনিট লাইনে দাঁড়ানোর পর হেলথ ডেস্কের কর্মকর্তা দেখলেন তিনি করোনা আক্রান্ত। রিপোর্টও তাই বলছে। ডেস্কে করোনা আক্রান্ত হওয়ার সরল স্বীকারোক্তিও দেন ওই যাত্রী। অতঃপর গেলেন হাসপাতালে।

ঘটনাটি মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সকালের। মাস্কাটের ফ্লাইটটি সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে শাহজালাল বিমানবন্দরের রানওয়ে স্পর্শ করে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসার পর ওই মধ্যবয়স্ক যাত্রীকে কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে কথা হয় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হেলথ ডেস্কের ডিউটি অফিসারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পজিটিভ রিপোর্ট হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেটি শনাক্ত করা হয়। কেন যাত্রী এমনটি করলেন এ বিষয়ে তিনি কোন সদুত্তর দেননি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিমানবন্দরের ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ জামিল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ওমানে যাত্রীদের অনেক যাচাই-বাছাই করে প্লেনে চড়তে দেওয়া হয়। এরপরও করোনা রোগী হয়ে তিনি বাংলাদেশে এলেন। এতে সালাম এয়ারের কর্মকর্তাদের গাফিলতি ও দায়িত্ব অবহেলা রয়েছে। এ কারণে এয়ারলাইন্সটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’

এছাড়া ওই ফ্লাইটের সব যাত্রীকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এ ম্যাজিস্ট্রেট।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ৫ এপ্রিল বিমানবন্দরে রাশিয়া থেকে আসা ২৬০ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও সেদিন সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে ঢাকায় আসা করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ৪ এপ্রিল যুক্তরাজ্য থেকে আসা ২৭৫ যাত্রীকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে এবং ২ এপ্রিল ১৩ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। ৩ এপ্রিল আগত সবাইকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন দেওয়া হয়েছে।

শাহজালাল বিমানবন্দরের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আগতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও করোনা টেস্টের কাগজগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যারা আসছেন তাদের নিজ খরচে সরকার নির্ধারিত হোটেলে পাঠানো হচ্ছে। এছাড়াও যারা একটু কম সচ্ছল তাদের হজক্যাম্পে সরকারি খরচে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে সেখানে যাত্রীকে নিজের খাবারের খরচটা বহন করতে হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ