হাসপাতালে বেড রাখার এক ইঞ্চি জায়গাও নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক  © ফাইল ফটো

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আশংকা প্রকাশ করে বলেছেন, লকডাউনের সময় স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। দুই হাজারের জায়গায় যদি ৫০ হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়ে যায়, তাহলে সরকারের পক্ষে সংকুলান করা সম্ভব হবে না। রাজধানীর মহাখালীতে ঢাকা উত্তর সিটি করর্পোরেশনের একটি ভবনকে কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য এক হাজার ২০০ শয্যায় রুপান্তরিত করার এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে সাড়ে তিন হাজার শয্যা বাড়ানো হয়েছে। তিনি দাবি করেন, সরকারি হাসপাতালগুলোয় করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য আড়াই হাজার শয্যা দ্বিগুণ করে পাঁচ হাজার করা হয়েছে। শিগগিরই আরো এক হাজার ২০০ শয্যা যোগ হবে। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতালে এক হাজার শয্যা আছে।

তিনি আরো বলেন, ‘সবচেয়ে বড় বিষয় আমরা পাঁচ হাজার বেড করলাম। এরপর তো আর এক ইঞ্চি জায়গাও নেই যেখানে আপনি আরেকটা বেড রাখতে পারবেন। তখন বেডটা কোথায় দিবো? বাড়ি-ঘরে তো বেড নিয়া গেলে হবে না।’

জাহিদ মালেক বলেন, সংক্রমণ কমানোর কোন বিকল্প নেই। রোগী যদি আজকে ১০ হাজার হয়ে যায়, ২০ হাজার হয়ে যায়, কোথায় নেবেন? কোথায় চিকিৎসা করবেন? ডাক্তার কোথা থেকে পাবো? বেড বাড়ালাম, নার্স কোথা থেকে পাবো? এটা তো সম্ভব নয়। অনেকে লকডাউন মানতে চাচ্ছে না। দেশের বিভিন্ন জায়গায় দোকানদাররা বিক্ষোভ ও ভাংচুর করেছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের মঙ্গলের জন্যই লকডাউন এবং ১৮-দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যদি সংক্রমণ এবং মৃত্যু কমাতে চাই তাহলে লকডাউনের বিধিবিধান মানতে হবে। ১৮-দফা নির্দেশনা মানতে হবে, মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। সংক্রমণ কমানোর জন্য সরকার সব ধরনের চেষ্টা করছে। চেষ্টার কোন ত্রুটি নেই।’

ঢাকাসহ সারাদেশে দুই হাজার হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর দেয়া হয়েছে। তিনি দাবি করেন, এ ব্যবস্থা আইসিইউর মতো কাজ করে।


সর্বশেষ সংবাদ