ভ্যাকসিনেও যাবে না করোনাভাইরাস: ডব্লিউএইচও
ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলেও করোনা মহামারি কাটার সম্ভাবনা দেখছেন না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রেয়েসাস। তিনি বলেছেন, ভ্যাকসিন ব্যবহার শুরু হয়ে গেলেও সামাজিক দূরত্ব, আইসোলেশন ইত্যাদি বিষয়গুলি মনে রাখতে হবে। সকলকে একসঙ্গে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ডাব্লিউএইচও প্রধান।
প্রায় এক বছর ধরে বিশ্বজুড়ে করোনার প্রকোপ চলছে। গত বছর এ সময়েই চীনে প্রথম করোনার প্রকোপ শুরু হয়েছিল। চীন এখন অনেকটাই বিপদ কাটিয়ে উঠলেও ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থা ভয়াবহ। ইউরোপে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। ডব্লিউএইচওর নিজস্ব হিসেবে শনিবার রেকর্ড সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গোটা বিশ্বে ছয় লাখ ৬০ হাজার ৯০৫ জন। তার আগের দিন আক্রান্ত হয়েছিলেন ছয় লাখ ৪৫ হাজার মানুষ। গত এক বছরে এক দিনে এত সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হননি।
ডব্লিউএইচও প্রধান জানিয়েছেন, বিভিন্ন দেশে করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চলছে। আগামী বছরের গোড়ায় কিছু ভ্যাকসিন হয়তো বাজারে চলেও আসবে। কিন্তু সেই ভ্যাকসিন নিলেই করোনা সম্পূর্ণভাবে চলে যাবে এমন ভাবার কারণ নেই। ভ্যাকসিন আসার পরেও প্যানডেমিক থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফলে করোনাকালে যে নিয়মগুলো মানার কথা বলা হয়েছিল, তা ভ্যাকসিন পরবর্তী সময়েও মেনে চলতে হবে।
ডব্লিউএইচও প্রধান জানিয়েছেন, সকলকে একসঙ্গে ভ্যাকসিন দেয়া হবে না। প্রথমে বয়স্ক ব্যক্তি, অসুস্থ ব্যক্তিদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ধীরে ধীরে তা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এবং কাজটি করতে বহু সময় লাগবে। ফলে এখনই নিশ্চিন্ত হওয়ার কারণ নেই। বস্তুত, যে ভাবে ইউরোপে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে, তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তা প্রকাশ তিনি।
ডয়েচে ভেলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এ বারের পরিস্থিতি আগের চেয়েও কঠিন হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাষ্ট্রেও প্রতিদিন বাড়ছে সংক্রমণ। অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণেও ফের সংক্রমণ শুরু হয়েছে। ভারতে মাঝে সংক্রমণ খানিক কমলেও ফের বিভিন্ন রাজ্যে বাড়তে শুরু করেছে। শীত বাড়লে সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।