ঢাকার ৪৫ শতাংশ আক্রান্ত বলা যাবে না: আইইডিসিআর
ঢাকা মহানগরীতে কোভিড-১৯ বিশ্বমহামারি পরিস্থিতি নিয়ে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) গবেষণার অন্তর্বর্তীকালীন ফলাফল পুরো ঢাকার প্রতিনিধিত্ব করে না বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। মঙ্গলবার রাতে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীনের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গবেষণাটি ঢাকা মহানগরীর প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র তুলে ধরেছে বলে দাবি করা হয়নি। কিন্তু কোনও কোনও গণমাধ্যমে গবেষণাটিতে সমগ্র ঢাকা মহানগরীর চিত্র তুলে ধরা হয়েছে বলায় এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। এত কম সংখ্যক নমুনা পরীক্ষার ফলাফলকে সমগ্র ঢাকা মহানগরীর প্রতিনিধিত্বকারী চিত্র বলে সিদ্ধান্তে আসা উচিত হবে না।
এতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে হলে ভবিষ্যতে প্রতিনিধিত্বমূলক সংখ্যক নমুনা সংগ্রহ করে আরও বড় পরিসরে গবেষণা করতে হবে। সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমসমূহকে আমাদের এ বক্তব্য গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করে বিভ্রান্তি নিরসনে সহায়তা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
আইইডিসিআরের পক্ষে আইসিডিডিআর,বি ওই গবেষণা চালিয়েছিল, যার ফল সোমবার এক অনুষ্ঠানে প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, ঢাকার শতকরা ৪৫ ভাগ মানুষের শরীরে নতুন করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে এবং বস্তি অঞ্চলে এই হার প্রায় ৭৪ শতাংশ।
যা বিশ্লেষণ করলে কোটি মানুষের শহর ঢাকার প্রায় অর্ধেকের মধ্যে নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়, গণমাধ্যমও সেভাবেই তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ ও প্রচার করে। ১২,৬৯৯ টি নমুনা পরীক্ষা করে তার মধ্যে ৪৫ শতাংশ মানুষের শরীরে নতুন করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে এই গবেষণায়।
আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, এত কম সংখ্যক নমুনা পরীক্ষার ফলাফলকে সমগ্র ঢাকা মহানগরীর প্রতিনিধিত্বকারী চিত্র বলে সিদ্ধান্তে আসা উচিত হবে না। ঢাকা মহানগরীর প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে হলে ভবিষ্যতে প্রতিনিধিত্বমূলক সংখ্যক নমুনা সংগ্রহ করে আরো বড় পরিসরে গবেষণা করতে হবে।