পেটের গ্যাসজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন যেভাবে
পেটে গ্যাসের সমস্যায় যারা ভুগে থাকেন তারাই বোঝেন এটি কতো যন্ত্রণার। একটু ভাজাপোড়া খেয়েছেন অথবা একটু না হয় বেশিই খেয়ে ফেলেছেন, তখনই শুরু হয়ে যাবে অস্বস্তিকর গ্যাসের সমস্যা। কিন্তু এই গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া খুব বেশি কঠিন কিছু নয়। শুধু একটু নজর রাখতে হবে নিজের খাওয়া-দাওয়ার প্রতি। জেনে নিতে হবে কোনটি খাওয়া উচিত হবে কোনটি হবে না।
যা যা খাবেন না
১) ডাল ও ডাল জাতীয় খাবার ডাল, বুট, ছোলা, বীণ, সয়াবিন ইত্যাদি ধরনের খাবার গ্যাস উদ্রেককারী খাবার। এগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, সুগার ও ফাইবার যা সহজে হজম হতে চায় না। ফল এগুলো গেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
২) ব্রকলি, পাতাকপি, বাঁধাকপি এই ধরনের সবজিগুলোতে রয়েছে ‘রাফিনোজ’ নামক এক ধরনের সুগার উপাদান। যা পাকস্থলীর ব্যাকটেরিয়া ফারমেন্ট না করা পর্যন্ত হয় হয় না এবং এই অবস্থায় পেটে গ্যাসের সমস্যা বৃদ্ধি পায়।
৩) দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার: দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার পর যদি দেখেন পেটে গ্যাস হচ্ছে তার অর্থ হচ্ছে আপনি লাক্টোজ ইন্টলারেন্ট অর্থাৎ আপনার দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার হজমে সমস্যা রয়েছে। হজম হয় না বলেই এগুলো আপনার পেটে গ্যাগের সৃষ্টি করে।
৪) আপেল ও পেয়ারা: আপেল ও পেয়ারাতে রয়েছে ফাইবার এবং ফ্রুক্টোজ ও সরবিটোল নামক সুগার উপাদান। যা সহজে হজম হতে চায় না। এতে করেও পেটে গ্যাস হয়।
৫) লবণাক্ত খাবার লবণের সোডিয়াম অনেক বেশি পানিগ্রাহী। অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবার খেলে দেহে পানি জমার সমস্যা দেখা দেয়। পাকস্থলীতেও সমস্যা শুরু হয় ও খাবার হজম হতে চায় না।
যা যা খাবেন
১) শসা: শসা পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী খাদ্য। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান। যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।
২) দই: দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা দূর হয়।
৩) পেঁপে: পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও গ্যাসের সমস্যা কমে।
৪) কলা ও কমলা: কলা ও কমলা পাকস্থলীর অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও কলার স্যলুবল ফাইবারের কারণে কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে।
লেখক: শিক্ষার্থী, খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগ, ঢাবি