করোনার কারণে দেশে বেঁটে শিশু বাড়বে
প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে বাংলাদেশে খর্বাকৃতির বা বেটে শিশুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের বিশেষায়িত এই সংস্থার সদর দপ্তর ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশিত ‘দ্য হিউম্যান ক্যাপিটাল ইনডেক্স ২০২০ আপডেট: হিউম্যান ক্যাপিটাল ইন দ্য টাইম অব কোভিড-১৯’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সাধারণত আদর্শ শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসুবিধা পেলে একটি শিশু প্রাপ্তবয়ষ্ক হয়ে শতভাগ উৎপাদনশীলতা দেখাতে পারো। তাই খর্বাকৃতি ও মানসম্মত শিক্ষার অভাব-এই দুটিকে মানবসম্পদ উন্নয়নের প্রধান বাধা মনে করে বিশ্বব্যাংক। কোভিড-১৯-এর আগে দেশে খর্বাকৃতির শিশুর হার ছিল ৩১ শতাংশ।
কিন্তু এই ধাক্কায় তা আরও ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে। মূলত পরিবারের আয় হ্রাসের কারণে খাদ্যের পুষ্টিমান কমে যাওয়ায় শিশুদের উচ্চতা কমবে। আর এই শারীরিক কারণে এই শিশুদের শিক্ষণের সময়ও কমবে। এছাড়া করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে বিদ্যালয়গুলোও। ফলে বিদ্যালয় থেকে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে।
বিশ্বব্যাংকের আশংকা এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হবে মেয়েরা। বিদ্যালয় বন্ধ ও পরিবারের আয় হ্রাসের কারণে মেয়েদের বাল্যবিবাহের হার যেমন বাড়বে, তেমনি বৃদ্ধি পাবে যৌন নির্যাতনের হারও।
বিশ্বব্যাংকের এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কোভিড-১৯-এর প্রভাবে মাথাপিছু জিডিপি ৪ শতাংশ কমবে। আর তাতে বিদ্যালয়ের বাইরে থাকা শিশু-কিশোরের সংখ্যা ২ শতাংশ বাড়বে।
চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত বিশ্বের মোট ১৭৪টি দেশের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যখাতের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এতে পূর্বের বছরের তুলনায় এ বছর মানবসম্পদ সূচকে বাংলাদেশের অবনতি ঘটেছে। ২০১৮ সালে এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল শূন্য দশমিক ৪৮ কিন্তু এবার তা কমে হয়েছে শূন্য দশমিক ৪৬।