১০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:৫২

মসজিদে বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯

  © সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় আব্দুস ছাত্তার (৪০) নামের আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট ২৯ জনের মৃত্যু হলো। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মারা যান তিনি। ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন পার্থ সংকর পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মসজিদে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও সাত জন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে ডা. পার্থ শঙ্কর পাল জানিয়েছেন।

তিনি আরো জানান, মসজিদে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও সাত জন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত শুক্রবার এশার নামাজের সময় ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এ বিস্ফোরণ ঘটে। ফরজ নামাজের মোনাজাত শেষে অনেকে সুন্নত ও অন্য নামাজ পড়ছিলেন। তখন ছয়টি এসি বিস্ফোরিত হয়। এ সময় মসজিদের ভেতরে প্রায় ৪০ জনের মতো মুসল্লি ছিলেন।

এখন পর্যন্ত মৃতদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে তারা হলেন, মসজিদের ইমাম আবদুল মালেক (৬০), মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮) ও তার ছেলে জুনায়েদ (১৭), দুই ভাই জোবায়ের (১৮) ও সাব্বির (২১), মুন্সীগঞ্জের কুদ্দুস বেপারি (৭২), চাঁদপুরের মোস্তফা কামাল (৩৪), পটুয়াখালীর গার্মেন্টস কর্মী রাশেদ (৩০), হুমায়ুন কবির (৭২), পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর জামাল আবেদিন (৪০), গার্মেন্টস কর্মী ইব্রাহিম বিশ্বাস (৪৩), কলেজ শিক্ষার্থী রিফাত (১৮), চাঁদপুরের মাইনউদ্দিন (১২), ফতুল্লার জয়নাল (৩৮), লালমনিরহাটের গার্মেন্টস কর্মী নয়ন (২৭), নিজাম (৩৪), নারায়ণগঞ্জের রাসেল (৩৪), শরীয়তপুরের নড়িয়ার ইমরান (৩৭), খুলনার কাঞ্চন হাওলাদার (৫০), শিশু জুয়েল (৭), বাহার উদ্দিন (৫৫), নাদিম (৪৫), জুলহাস (৩৫), শামীম (৪৫), হান্নান (৫০)। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা তল্লা এলাকার বাসিন্দা।