অনির্দষ্টকালের কর্মবিরতি চলছে চমেকে

  © সংগৃহীত

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) প্রধান ছাত্রাবাসে বিতণ্ডা ও মারামারি এবং এর কয়েক ঘণ্টা পর দুই শিক্ষানবিস চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশন।

আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়ে বেলা একটা পর্যন্ত চলে। সেই সঙ্গে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ডা. ওসমান গনি ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রসংসদের সাহিত্য বিভাগের সম্পাদক সানি হাসনাইন প্রান্তিকের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টেশ্বরী রোডে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রধান ছাত্রাবাসে। করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর ছাত্রাবাস থেকে বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা চলে যান। গত মাস থেকে হাসপাতালের কাজে যোগ দেওয়া ইন্টার্ন ডাক্তাররাই শুধু ছাত্রাবাসে ছিলেন।

বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মেডিকেল ছাত্রলীগের একটি পক্ষের নেতাকর্মীরা ওই ছাত্রাবাসে গেলে তাদের সঙ্গে ইন্টার্ন ডাক্তারদের বাক-বিতণ্ডা হয়। ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব ডা. তাজওয়ার রহমান খান বলেন, জুনিয়ররা হোস্টেলে এসে বিতণ্ডায় জড়ায় এবং এরপর হামলা চালালে কয়েকজন আহত হয়।

ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) যুগ্ম আহবায়ক ও কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি ডা. এম এ আউয়াল বলেন, হামলায় ডা. ওসমানের মাথায় ৫টি এবং প্রান্তিকের মাথায় ৮টি সেলাই হয়েছে। তাঁদের অবস্থা খারাপ। হাসপাতালের নিউসার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন। আমরা কর্মস্থলে ফিরে যেতে চাই। কিন্তু উপযুক্ত পরিবেশ না থাকলে কিভাবে আমরা কাজ করবো।

এদিকে চমেক হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির মধ্যে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।

জানতে চাইলে পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করে আসছেন। শুক্রবার সকালে হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়ে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হাসপাতাল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে মামলা হওয়ার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে নগরীর জয়নগর এলাকা থেকে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। চকবাজার থানার ওসি মো. রুহুল আমিন বলেন, ডা. এম এ আউয়াল রাফি বাদী হয়ে যে মামলা করেছেন, তাতে ২১ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ