৯৯৯ নম্বরে ফোন, ২ লাখ টাকার বিল হয়ে গেল ১৫ হাজার
রাজধানীর পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক রোগীর চিকিৎসার বিল ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল দুই লাখ টাকা। বিল না দিলে রোগীর লাশ দেবে না কর্তৃপক্ষ। বিশাল বিল দেখে চরম বিপাকে পড়ে যান রোগীর স্বজনরা। বাকবিতণ্ডা করেও কাজ হয়নি। শেষে তারা কল করেন জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে।
ফোন পেয়ে হাসপাতালে উপস্থিত হয় ধানমন্ডি থানা পুলিশ। অভিযোগের সত্যতাও পান তারা। তখন পুলিশের হস্তক্ষেপে বিল কমিয়ে ১৫ হাজার টাকা নিতে রাজি হয় কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের অধিবাসী এক ব্যক্তির চাচা শাহজাহান এজমার রোগী ছিলেন। গত ১৬ জুলাই তার শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিলে পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে তার কোভিড টেস্ট করালে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তারপরও ইসিজি, এক্সরেসহ বিভিন্ন টেস্ট করায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বলা হয়, তিনি করোনা রোগে আক্রান্ত। তিনি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ৫৫ হাজার টাকা জমা দিয়েছিলেন। পরে তাকে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, তার চাচা বেঁচে নেই। তখন তিনি হাসপাতালে গেলে তাকে দুই লাখ ৩১ হাজার টাকার বিল ধরিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। টাকা পরিশোধ না করলে লাশ নিতে দেওয়া হবে না।
পরে নিরাপত্তারক্ষীরাও তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তখন তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে অযৌক্তিক বিল দাবির বিষয়ে আইনী সহায়তা প্রদানের অনুরোধ করেন। ধানমন্ডি থানাকে বিষয়টি অবহিত করে। তখন পুলিশের একটি দল ওই হাসপাতালে গিয়ে উপস্থিত হয়।
ধানমন্ডি থানার এসআই শিহাব বলেন, ‘৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে হাসপাতালে যাই। সেখানে ভুক্তভোগী ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করে ওই বিলের বিষয়টি জানতে পারি। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংশোধিত বিলের মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকা নেন। তারা পূর্বের ৫৫ হাজারের সঙ্গে ১৫ হাজার টাকা দিলে এ সমস্যার সমাধান হয়।’