পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জনস্বার্থের বিরুদ্ধে গেলেই ব্যবস্থা: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিআরটিএ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও পরিবহন সংশ্লিষ্টদেরকে ঈদযাত্রায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে করোনা সংক্রমণ রোধে কাজ করতে হবে। আজ সোমবার (২০ জুলাই) রাজধানীর বিআরটিএ’র কার্যালয়ে এক সভায় বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় যেসব পরিবহন মালিক ও সমিতি সরকারের সিদ্ধান্ত, জনস্বার্থ ও যাত্রীস্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে, তাদের বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান ওবায়দুল কাদের। মন্ত্রী বলেন, ঈদ উপলক্ষে যাত্রীদের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে এবং সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে দায়িত্বশীল সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, কোরবানির ঈদ ধর্মীয় উৎসব হওয়ায় সামাজিক ও ধর্মীয় বাস্তবতা আলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহনে পশু পরিবহন বন্ধ করতে হবে। তা উৎসমুখেই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
তিনি বলেন, আইন প্রয়োগকারী, মালিক-শ্রমিক, টার্মিনাল প্রতিনিধি, বিআরটিএ, সিটি করপোরেশনসহ সকলকে নিয়ে যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। মোবাইল কোর্ট সার্বক্ষণিক মনিটর করবে। কোনো অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রতিটি ট্রিপ শেষে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, জ্বালানি সংগ্রহ ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া গাড়ি থামানো যাবে না। ঈদের তিন দিন আগে থেকে পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি সার্ভিস ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহন এর আওতামুক্ত থাকবে। সড়ক ও মহাসড়কে এবং পাশে পশুরহাট বসানো যাবে না। এসময় ঈদের আগে ও পরে সিএনজি স্টেশন খোলা রাখতে অনুরোধ জানান তিনি।
সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গা, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান মো. এসছানে এলাহি প্রমুখ।