ভারতে করোনা ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু
মুক্তির দিনক্ষণ ঘিরে ধোঁয়াশার মধ্যেই শুরু হচ্ছে ভারতে তৈরি করোনা প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিনের প্রথম পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল। জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ে ৩৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর কোভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা হবে।
পূর্বের ঘোষণা মতো আজ সোমবার (১৩ জুলাই) থেকে পটনার AIIMS-এ শুরু হচ্ছে কোভ্যাক্সিনের হিউম্যান ট্রায়াল। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার থেকে অনুমতি পাওয়ার পর প্রথম ভারতীয় করোনা প্রতিষেধক হিসাবে হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করল হায়দরাবাদের ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন।
‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ’ (আইসিএমআর) এবং ন্যাশনাল ভায়রোলজি ইনস্টিটিউট (এনআইভি) গবেষকরা যৌথ ভাবে তৈরি করেছেন ভারতের প্রথম করোনা টিকা কোভ্যাক্সিন।
সোমবার পটনার AIIMS-এ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্বাচিত মোট ১৮ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর কোভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা হবে। এই স্বেচ্ছাসেবকদের বয়স ১৮ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে। জানা গেছে, প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ দেওয়ার পর স্বেচ্ছাসেবকদের ২-৩ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখবেন চিকিৎসকরা। তার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে। এই পর্যায়ে শারীরীক ভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ ব্যক্তিদের উপরেই এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হবে।
দুটি পর্যায়ে মোট ১,১০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর কোভ্যাক্সিন পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হবে। এই ট্রায়ালের জন্য পটনার AIIMS ছাড়াও হায়দরাবাদের নিজাম ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস, দিল্লি AIIMS-সহ মোট ১২টি প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিয়েছে ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ’ (আইসিএমআর)।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে, প্রতিষেধক তৈরির ক্ষেত্রে কোনও রকম ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে না। প্রতিষেধক তৈরির ক্ষেত্রে সব রকম নিয়ম-কানুন মেনেই এগোচ্ছে সংস্থাগুলি। প্রথম দুটি পর্যায়ে প্রতিষেধকটি কতটা নিরাপদ তা দেখে নেওয়া হয়। তৃতীয় পর্যায়ে প্রতিষেধকের কার্যকারিতা দেখেন বিজ্ঞানীরা।
আইসিএমআর বলছে, এই প্রতিটি পর্যায়ে অন্তত দুই থেকে তিন মাস সময় লাগতে পারে। কখনও আবার তার চেয়ে বেশিও সময় লেগে যেতে পারে। তবে কোভ্যাক্সিনের সুরক্ষা সম্পর্কিত সমস্ত দিক বিস্তারিত ভাবে পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ করে সম্পূর্ণ রূপে নিশ্চিত হওয়ার পরেই এটিকে বাজারে ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আইসিএমআর।