জুলাইয়ে বাংলাদেশে শুরু হচ্ছে চীনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২০, ০১:৪৫ PM , আপডেট: ২৯ জুন ২০২০, ০৩:০১ PM
চীনের সিনোভেক বায়োটেকের গবেষণাধীন টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল জুলাইয়ে বাংলাদেশে শুরু হতে পারে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোভেকের অংশীদার হিসেবে এই পরীক্ষা চালাবে। সরকারি কর্মকর্তা ও আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথা বলে এটা জানা গেছে।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে ইঙ্গিত দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ। গত শুক্রবার বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল বাংলাদেশে হতে পারে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে কার্যক্রম অনেকটা এগিয়েছে বলে জানা গেছে।
আইসিডিডিআরবি সূত্রে জানা গেছে, দে প্রায় ৪ হাজার করোনা আক্রান্ত মানুষের ওপর এই ভ্যাকসিনের যৌথ পরীক্ষা চালাবে সিনোভেক বায়োটেক ও আইসিডিডিআরবি। চলতি সপ্তাহে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ ব্যাপারে চুক্তি হতে পারে। এর পর তা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল অনুমোদনের জন্য আইসিডিডিআরবির পক্ষ থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন জানানো হবে।
এ ব্যাপারে আইসিডিডিআরবির সিনিয়র সাইন্টিস্ট ও প্রখ্যাত ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞ ফেরদৌসী কাদরি বলেন, সরকারের সহযোগিতা নিয়ে চীনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরুর চিন্তা-ভাবনা করছে আইসিডিডিআরবি। তবে তা কবে শুরু হবে- এই মুহূর্তে সেটা বলা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ এটি এটি নির্ভর করছে অনেকগুলো বিষয়ের ওপর।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এ ব্যাপারে বলছেন, ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের কাজ যাতে দ্রুত সম্পন্ন করা যায়, সেজন্য তাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।
তিনি জানান, ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে চীন ও যুক্তরাজ্য। বাংলাদেশ যাতে ভ্যাকসিনের কাঁচামাল পায়, সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে দুটি দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে চীনা ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের ক্ষেত্রে আমাদের (বাংলাদেশ) কী লাভ- এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে।
সরকারের বিভিন্ন সূত্র বলছে, সিনোভেক ও আইসিডিডিআরবির মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হলে তারা বাংলাদেশে মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলে (বিএমআরসি) আবেদন করবে। এ ক্ষেত্রে নীতিবিষয়ক কমিটির অনুমোদন লাগবে। এর পর ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর মাঠ পর্যায়ে কাজটি কীভাবে করা হবে, সে ব্যাপারে অনুমোদন দেবে।
মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ইতোমধ্যে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন উৎপাদনের সম্ভাব্যতা নিয়েও বৈঠক করেছে। বাংলাদেশের একাধিক ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এ ব্যাপারে প্রস্তুত আছে বলে জানা গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে বিশ্বে দুই শতাধিক গবেষণা চলছে। এর মধ্যে কয়েকটি গবেষণা এগিয়ে রয়েছে। যার অন্যতম হলো ব্রিটেনের অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ও চীনের সিনোভেক বায়োটেকের ভ্যাকসিন। সিনোভেকের টিকার নাম হতে পারে করোনাভেক।